পুরোনো সীমানাতেই হবে দোহার পৌরসভার নির্বাচন

    1153

    পুরোনো সীমানাতেই হবে দোহার পৌরসভার নির্বাচন। সীমানা জটিলতায় ১৯ বছর ধরে আটকে থাকলেও আদালতের রায়ে ৯০ দিনের মাঝে নির্বাচন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই হিসাবে অক্টোবরের মাঝেই হওয়ার কথা দোহার পৌরসভা নির্বাচন। সীমানা নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা থাকলেও যেহেতু নতুন করে পৌরসভার সীমানার গেজেট ঘোষনা হয় নি সেহেতু ২০০১ সালের সীমানাতেই আয়োজিত হতে যাচ্ছে দোহার পৌরসভা নির্বাচন। এমনটাই জানিয়েছেন দোহারের নির্বাচন কর্মকর্তা।

    একদিকে করের বোঝা আরেকদিকে ক্রমাগত স্বেচ্ছাচারী পৌরসভা, ফলে কাঙ্খিত সেবা না পাওয়া পৌরবাসীর ক্ষোভ একেবারে নতুন না। পৌরবাসী না পাচ্ছে পৌরসভার সেবা না পাড়ছে অযোগ্য ও সেচ্ছাচারী পৌরসভার কোন সেবা। তাই দোহার পৌর নির্বাচন অনেকটাই জনদাবিতে পরিনত হয়েছে দোহার পৌরবাসীর জন্য।

    ২০০১ সালে গঠিত দোহার পৌরসভা গঠন করা হয় দোহার উপজেলার জয়পাড়া ইউনিয়নের পুরোটা ও রাইপাড়া, সুতারপাড়া ও মাহমুদপুর ইউনিয়নের আংশিক নিয়ে। ২০০০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় প্রথম নির্বাচন। এর পর সীমানা জটিলতা, রাজনৈতিক প্রভাব ও নামকরণ নিয়ে আদালতে মামলা থাকায় কেটে যায় ১৮ বছর। ২০১৩ সালে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলেও ভোট গ্রহণের মাত্র তিন দিন আগে মাহমুদপুরের বাসিন্দা আব্দুস সোবহান সীমানা জটিলতা নিয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেন। এতে নির্বাচন আবার বন্ধ হয়ে যায়। তার অভিযোগ ছিল, মাহমুদপুরের যে অংশটি দোহার পৌরসভায় পড়েছে, তারা নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত। তাদের বাদ দিয়ে পৌরসভা সীমানা নির্ধারণের দাবি জানান তিনি। এই মর্মে তিনি হাই কোটে রিট করেন। অবশেষে ২০১৯ সালে দোহার পৌরবাসীরা দোহার পৌরসভার নির্বাচনের দাবি নিয়ে দেখা করে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেস্টা সালমান এফ রহমানের সাথে। তিনি অতি দ্রুত সীমানা জটিলতা দূর করে পৌরসভা নির্বাচনের আশ্বাস দেন। এরপর  পৌরবাসি সীমানা নিয়ে কিছুটা দ্বিধায় থাকলেও গেজেট প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত পুরোনো সীমানাতেই পৌরনির্বাচন হবে বলে জানান দোহার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।

    অন্য খবর  যাদের হাত ধরে ডিএনএসএমের মধ্যবিত্ত প্রকল্পঃ মুশফিকুর রহমান লিমন

    এ নিয়ে নিউজ৩৯ দোহার পৌরসভার ইন্জিনিয়ার মশিউর রহমান এর কাছে যায় তখন তিনি বলেন যে আমি এই পৌরসভার নির্বাচন সম্পর্কে কিছু বলতে পারি না সে টা নির্বাচন কমিশনার জানে।

    এরপর নিউজ৩৯ দোহার উপজেলার নির্বাচন কমিশনর এর কাছে নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন যে পৌরসভা নতুন করে কোন আইন পাশ হয় নাই পৌরসভা পুরাতন টাই আছে আর নতুন পৌরসভা গঠন করতে হলে নতুন গেজেট প্রকাশ করতে হবে এরপর ধারাবাহিক ভাবে নতুন পৌরসভা গঠন হবে। তখন তার কাছে জানতে চাইয়া হয় যে এই বেপারে কোন আদালত থেকে কোনো ধরনের নোটিশ আছে কিনা তিনি জানায় না এই বেপারে আমরা কোন নোটিশ পাইনি পেলে আপনাকে জানাবো নতুন পৌরসভা নিয়ে নির্বাচন করতে চাইলে গেজেট প্রকাশ করতে হবে আর সেটা সরকার চাইলে যে কোন সময় করতে পারবে আর যদি  এখন নির্বাচন হয় তাহলে পুরাতন পৌরসভা নিয়ে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে আর এই পুরাতন পৌরসভা নিয়ে নির্বাচন হবে।

    আপনার মতামত দিন