সূত্রঃ বাংলানিউজ২৪ঃ সালাহউদ্দিন বাচ্চু; নবাবগঞ্জ (ঢাকা): ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা-শিকারীপাড়া সড়কটিতে খানাখন্দে বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে।রাজধানীতে যাতায়াতে সড়কটি নবাবগঞ্জের পাঁচ ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের পথ। শুধু রাজধানী নয় মানিকগঞ্জ জেলা সদর, হরিরামপুর, সিংগাইর উপজেলায় যাওয়ারও একমাত্র পথ। সামান্য বৃষ্টি হলেই খানাখন্দে ভরা সড়কে পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে যাত্রীরা। প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টির পানি জমে গেছে রাস্তায় আর এ পানির নিচে রয়েছে ছোট-বড় অনেক গর্ত। কোনো গর্তের কতটুকু গভীরতা এটা বোঝার উপায় নেই, তবুও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। এছাড়া আলালপুর হয়ে দাউদপুর দিয়ে শিকারীপাড়া পর্যন্ত সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। নূরনগর বাজার সংলগ্ন, মুন্সিনগর মসজিদের সামনে, দাউদপুর বাজার সংলগ্ন, হাগ্রাদি বাজার এলাকা এবং শিকারীপাড়া বাজারে যাওয়ার রাস্তায়ও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী। এদিকে, বান্দুরা ব্রিজের ঢালে সৃষ্টি হওয়া বড় গর্তের কারণে বিপাকে পড়েছেন গাড়িচালক ও যাত্রীরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাংলানিউজকে বলেন, খানাখন্দে ভরা সড়কের এমন বেহাল দশার কারণে গত দু’দিনে পাঁচটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া আলালপুর হয়ে দাউদপুর দিয়ে শিকারীপাড়া পর্যন্ত সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ।
বান্দুরা বাজারের ব্যবসায়ী রঞ্জিত বণিক বাংলানিউজকে বলেন, বান্দুরা ব্রিজের ঢালে গর্তে যানবাহন উল্টে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। যাতায়াত ব্যবস্থা খারাপ থাকায় দোকানের কাস্টমার কম আসছেন। এতে আমরা ব্যবসায়ীকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
দোহার-নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের ছাত্র শামীম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কলেজে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। বৃষ্টিতে খুব সমস্যা হয় এবং ওইদিন গাড়িও পাওয়া যায় না। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় আমাদের।
শিকারীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলিমুর রহমান খান পিয়ারা বলেন, সড়কের বেহাল দশার বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি, শিগগিরই সড়কটি মেরামত করা হবে।
বান্দুরা ইউপি চেয়ারম্যান হিল্লাল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, সড়কটি মেরামতের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে কয়েকবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আনোয়ার রহমান বাংলানিউজকে বলেন, দ্রুত সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।