ইছামতির ওপারের মানুষের বহুদিনের প্রতীক্ষার পর পাওয়া সেতু, ইছামতির দুইপাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের যোগাযোগ সহজ করেছে।

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার ইছামতি নদীর বান্দুরা ব্রিজের নিচে মুরগির বর্জ্যরে স্তূপের গন্ধে অতিষ্ট বান্দুরাবাসী। বর্জ্যের তীব্র গন্ধে পুরাতন বান্দুরা ও নতুন বান্দুরা বাজারের ব্যবসায়ীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। বান্দুরা ব্রিজ দিয়ে চলাচলকারী পথযাত্রীদের নাক চেপে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, ঈদ উপলক্ষে বেড়ে যায় মুরগির চাহিদা। পুরাতন বান্দুরা বাজারে মুরগির দোকানগুলোতে ঈদের আগেরদিন মঙ্গলবার দিনভর ছিল ভীড়। সারাদিন মুরগি বেঁচার পর দোকানদাররা রাতে বান্দুরা ব্রিজের উপর থেকে মুরগির বর্জ্য ফেলে ইছামতি নদীতে। ব্রিজের নিচে সৃষ্টি হয় বিশাল ময়লার স্তূপ। সকাল থেকে তীব্র র্দুগন্ধ বের হতে থাকে সেই ময়লা থেকে। দিন যত গড়াতে থাকে গন্ধ বাড়তে থাকে। এতে ঈদের দিন থেকেই চরম অস্বস্তিতে পড়তে হয় ইছামতি নদীর তীরবর্তী মানুষজনকে। গন্ধ এতই তীব্র যে ব্রিজ উপর দিয়ে গাড়িতে চলাচলকারী অনেককে উগলে দিতে দেখা যায়। শনিবার বিকালেও বর্জ্যের গন্ধ ছিল তীব্র।

এলাকাবাসী জানান, প্রতিদিনই বাজারের মুরগীর ব্যবসায়ীরা রাতে ইছামতি নদীতে মুরগির বর্জ্য ফেলে। এতে নদীর পানির সাথে পরিবেশ দূষিত হলেও বাজার কমিটি সম্পূর্ণ নির্বিকার। নদীতে নিয়মিত বর্জ্য ফেলার কারনে স্থানীয়রা নদীর পানি ব্যবহার করতে পারছে না। ইছামতি নদীতে স্রােত না থাকায় ময়লা সরে যায় না।

অন্য খবর  নবাবগঞ্জ উপজেলা ছাত্র সংগঠন ইছামতির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

নতুন বান্দুরা কলেজ ছাত্র সাব্বির আহমেদ জানান, গন্ধ এতই প্রকট ব্রিজের উপর দিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। নাক চেপেও গন্ধ অনুভব হচ্ছে। আমরা গোসলসহ বিভিন্ন কাজে ইছামতি নদীর পানি ব্যবহার করতাম। কিন্ত এখন বর্জ্যের কারনে পানির অবস্থা এতই খারাপ যে পানি কোন কাজেই আসছে না।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, পুরাতন বান্দুরা বাজার একটি ব্যস্ততম বাজার। তবে সেই তুলনায় উন্নয়নের ছোঁয়া নেই। মুরগি ব্যবসায়ীরা বর্জ্য কোথায় ফেলবে তার নির্দিষ্ট কোন স্থান নির্ধারণ করতে পারেনি বাজার কমিটি। নিরুপায় হয়ে ইছামতি নদীকেই ডাস্টবিন হিসেবে বেছে নিয়েছে মুরগী ব্যবসায়ীরা। এতে যেমন পরিবেশ দূষিত হচ্ছে তেমনি দূষিত হচ্ছে নদীর পানি। প্রশাসনের উচিত যারা ইছামতি নদীতে মুরগীর বর্জ্যসহ আবর্জনা ফেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।

আপনার মতামত দিন