রাজপথ উত্তপ্ত করতে পারলে তবেই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি

210
রাজপথ উত্তপ্ত করতে পারলে তবেই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি

বাংলাদেশের বর্তমান নির্বাচন শীর্ষক আলোচনা সভার প্রধান অতিথি বক্তব্য এড. খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আমার দুঃখ হয় পুরো জাতি যখন ঐক্যবদ্ধ ছিলো তখন হাসিনার অধীনে কেনো নির্বাচনে যাওয়া হলো । এই ব্যর্থতার দায় জনগনের না । এ দায় আমাদের আমরা যারা নেতৃত্ব দিয়েছি । আমাদের নেত্রীকে জেলে নেওয়া হয়ছে রাজনৈতিক কারনে । বেগম জিয়াকে আইনিভাবে মুক্ত করতে পারবো না । রাজপথ উতপ্ত করতে হবে তাহলে বেগম জিয়াকে বের করতে পারবো । আমরা নির্বাচনে গিয়েছিলাম পৃথিবীকে দেখাতে আ,লীগের অধিনে নির্বাচন সুষ্ঠ হয় না । সেটা দেখিয়েছি। এতো কিছুর পরেও কেনো রাজপথে নামতে পারলাম না। এ দায় কার আমাদের। আমি নিজে দেখেছি বেগম জিয়া এক পা নারাতে পারছেনা। নেতৃত্বে যদি ব্যর্থ হন তাহলে পদ ছেড়ে দিন । ব্যর্থতার দায় নিয়ে চলে যান । রাজপথে যারা উতপ্ত করতে পারে তাদেরকে দায়িত্ব দেন । তাদেরকে জায়গা করে দেন । এই নির্বাচনের ব্যর্থতা আমাদের খুজে বের করতে হবে । আমি একটা কথাই বলতে চাই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন করতে হবে ।আন্দোলনে যারা রাজপথ উতপ্ত করতে ব্যর্থ হবেন তারা সরে দাড়ান। নতুনদের দায়িত্ব দেন । আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলি ।

প্রধান বক্তার বক্তিতায় মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমি প্রথমেই বনানীর ঘটনায় শোক জানাচ্ছি । এই সরকারের আমলে আগুনে খেয়েছে সব চেয়ে বেশি মানুষ । এই দেশ এখন মৃত্যুর রাজ্যে পরিনত হয়েছে । গাড়ি চালকের লাইসেন্স নেই, লাইসেন্স চায় কে দেশ যে চালাচ্ছে তার নিজেরই তো লাইসেন্স নেই। নির্বাচন নিয়ে কি আলোচনা করবো, দেশে তো নির্বাচনই নেই । উনি বলে নির্বাচন এতো সুন্দর করলাম তা নিয়েও বিতর্ক । উনাকে সবাই ঘৃনা করে । বিশ্বের বড় বড় মিডিয়া বলছে এই নির্বাচন সুষ্ঠ হয় নি এটা বিতর্কিত নির্বাচন হয়েছে । ঢাকা উওর সিটি নির্বাচনে কোন ভোটার ভোট দিতে যায় নি । তেমন উপজেলা নির্বাচনে ও ভোটার ভোট দিতে যায় নি । নির্বাচন কমিশন তো আল্লাহর দেয়া নাম। উনার তো কোন লজ্জা নেই

অন্য খবর  সৌদি আরবে খন্দকার আবু আশফাককে গণসংবর্ধনা

৭৩ বছর বয়সী একজন নারী, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দুইবারের বিরোধী দলীয় নেত্রী তাকে মিথ্যা একটা মামলায় আজ জেলে রাখা হয়েছে । বেগম জিয়াকে যেখানে রাখা হয়েছে সেটা ভুতের বাড়ি । আপনার নামে মামলা ছিলো ১৩ টি সব মামলায় বিচার হবে । কথায় কথায় উন্নয়ন ,কিসের উন্নয়ন,কার উন্নয়ন । এরা চোর, এরা ভোট ডাকাত,এরা লুটেরার ।এদের বিচার বাংলাদেশে হবে । বিশেষ অতিথির বক্তবে খন্দকার আবু আশফাক বলেন, গত নির্বাচন আপনারা দেখেছেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনও দেখেছেন। কেউ ভোট দিতে যায় নি । অর্নিবাচিত সরকার ভোট ডাকাতির মধ্যে দিয়ে সরকার গঠন করেছে । সদ্য জাতীয় নির্বাচন ৩০ শে ডিসেম্বর সে নির্বাচনে ভোট হয়েছে রাতে । পৃথিবীর কোন দেশে নির্বাচন রাতে হয় না শুধু একমাত্র দেশ বাংলাদেশ যেখানে নির্বাচন হয় রাতে । শেখ হাসিনা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে । নির্বাচনের পরে শুরু হয়েছে গায়েবি মামলা । আমরা যারা নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষনা করেছে হাসিনা । সে আইনে নিজের মত করেই ব্যবহার করেছেন । আশফাক আরো বলেন, এই সরকারে কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে কোন লাভ নেই । আন্দোলনের মাধ্যমে দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে । আন্দোলন ছাড়া কোন মুক্তিই সম্ভব না ,আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই । রাজপথে আন্দোলন করতে পারলেই আমাদের গনতন্ত্রের মায়ের মুক্তি মিলবে । ভোটের অধিকার, বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে হলে রাজপথ আমাদের আসল পথ।

অন্য খবর  শীতে সরকারী কোন সহায়তা পাচ্ছে না দরিদ্র জনগোষ্ঠীঃ রুহুল কবির রিজভী

বগুড়া ০৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন বলেন, আপনি তো ভোট চোরের শীর্ষে, এই সরকার হায়েনার চেয়েও খারাপ। বাঙ্গালি এতো বোকা না যে আপনি যা বোঝাবেন তাই বুঝবে । সেটা আপনি ভুল ভাবছেন । ভোট চুরির জবাব আপনি পাবেন । মোশারফ আরো বলেন গনতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। মুক্ত করতে হলে আমাদের রাজপথে আন্দোলন দিতে হবে । আন্দোলন করতে হবে। শপথের বিষয়ে মোশারফ হোসেন বলেন আমার দল যদি মনে করেন শপথ নিতে হবে তাহলেই শপথ নিবো । যদ না চাইলে নিবো না। তিনি আরো বলেন আমি মোশারফ কথা দিচ্ছি প্রয়োজন হলে পদত্যাগ করে চলে যাবো তাও বেগম খালেদা জিয়াকে রেখে আমি মোশারফ শপথ নিবো না না না ।

সভাপতির বক্তব্যে দোহার উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা রহিম শীলা বলেন, দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি । রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই আমাদের মায়ের মুক্তি করতে পারব।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক  খন্দকার আবু আশফাক। বগুড়া ০৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, শামীমা রহিম শীলা, সভাপতি, চেতনা বাংলাদেশ ও ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা দোহার উপজেলা পরিষদ ।

আপনার মতামত দিন