আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়েকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্বকাপের স্বাগতিক হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরা। ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের বিডিংয়ে দেশগুলো সম্মিলিতভাবে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে এমন ঘোষণা দেন পিনেরা। এই দেশগুলোর মধ্যে উরুগুয়েতে ১৯৩০ সালে বসেছিল বিশ্বকাপের প্রথম আসর।
২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনের ব্যাপারে এরই মধ্যে সম্মিলিতভাবে আয়োজনের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে মরক্কো, স্পেন ও পর্তুগাল। সম্মিলিত আয়োজক হতে চায় গ্রিস, বুলগেরিয়া, সার্বিয়া ও রোমানিয়াও। তবে যারাই স্বাগতিক হোক অনুমতি পেতে তাদেরকে লড়তে হবে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের দেশগুলোর সঙ্গে।
পিনেরা এক টুইটে লিখেছেন, আর্জেন্টিনা, চিলি, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়ের প্রেসিডেন্টবৃন্দ ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ সম্মিলিতভাবে আয়োজনের ব্যাপারে একমত হয়েছেন। দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশনের সঙ্গে যোগযোগ করে দেশগুলো তাদের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে ফিফার কাছে বিশ্বকাপ আয়োজনের ইচ্ছার কথা জানাবে।
২০৩০ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের একশো বছর পূর্ণ হবে। ১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপ হয়েছিল দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলেই, উরুগুয়েতে।
পিনেরা বলেন, “কয়েক মাস আগে চিলির সহযোগি হওয়ার জন্য আমি আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ের প্রেসিডেন্টকে প্রস্তাব করেছিলাম। প্রস্তাব করেছিলাম, ২০৩০ সালের বিশ্বকাপে একসঙ্গে আয়োজনের ব্যাপারে আবেদন করতে। এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।…১৯৬২ সালের বিশ্বকাপের পর নতুন একটা সুযোগ পাচ্ছে চিলি।”
আর্জেন্টিনারও বিশ্বকাপ আয়োজনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ১৯৭৮ সালে নিজেদের মাঠে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল দেশটি। শিরোপাও জিতেছিল তারা। দেশ চারটির মধ্যে কেবল প্যারাগুয়ের বিশ্বকাপ আয়োজনের অভিজ্ঞতা নেই।
২০২২ সালের বিশ্বকাপ হবে কাতারে। চার বছর পরের আসরটি সম্মিলিতভাবে আয়োজন করবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা।