আওয়ামী লীগ সভাপতির বেসরকারি উন্নয়ন খাত বিষয়ক উপদেষ্টা ও দোহার-নবাবগঞ্জ ঢাকা-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালমান এফ রহমান বলেছেন আমি একজন ব্যবসায়ী। তাই ব্যবসায়ীদের ভাগ্য উন্নয়নে সব সময় কাজ করবো। এ জন্য আপনারা ব্যবসায়ীরা যদি দলমত নির্বিশেষে আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেন তা হলে এই আসনটি আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেবো। এ জন্য আপনাদের আমার হয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইতে হবে। তিনি বলেন, প্রত্যেকটা ভোটারই আওয়ামী লীগের নয়। অন্য দলের ভোটার রয়েছে। এ জন্য আপনাদের ভালোবাসা প্রত্যেকটা মানুষেরই উপরে থাকতে হবে। তাহলেই দেখবেন ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ভোট প্রদানের মাধ্যমে জনগণ দেবে। এ সময় তিনি নির্বাচনে বিজয়ী হলে দোহার-নবাবগঞ্জ দুই উপজেলাকে মডেল উপজেলা করারও ঘোষণা দেন।
দোহারের জয়পাড়া বাজারে রোববার রাতে উপজেলার সকল বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নির্বাচনী সভায় তিনি একথা বলেন। এ সময় বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ৮৫ জন ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি একে আজাদ বলেছেন, আসছে একাদশ নির্বাচনে দোহার নবাবগঞ্জ আসন থেকে আমরা চাই নৌকার প্রার্থী সালমান এফ রহমান নির্বাচিত হলে অন্তত সাধারণ, মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সামান্য জামানতে ব্যাংক থেকে লোন পাবে। সেই ব্যবস্থা সালমান এফ রহমান চেষ্টা করলে করতে পারবেন। তাই তারমতো এমন একজন মানুষকে যদি আপনারা নির্বাচনে জয়লাভ করাতে পারেন তাহলে আমি একজন ব্যবসায়ী হিসেবে বলতে পারি এ জয় আপনারা যারা ব্যবসায়ী তাদেরও হবে।
সভায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই-এর মহম্মদ আলী, খন্দকার রুহুল আমিন, হাবিবুল্লাহ ডন, শফিকুল ইসলাম ভরসা, আবু নাসের, রাসেদুল ইসলাম চৌধুরী রনী, হাফেজ মো. হারুন, আমজাদ হোসেন, মো. এহসান, আলাউদ্দিন মল্লিক, জান্নাতুল ফেরদৌস ডলি, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাহেদ রেজা, দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন, জয়পাড়া বড় বাজারের সভাপতি আজাদ খান, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মাঝি, জয়পাড়া হাইস্কুল মার্কেট ও হাসপাতাল রোড ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ, জয়পাড়া পূর্ব বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জুলহাস উদ্দিনসহ বিভিন্ন বাজারের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।