গালিমপুরে গৃহবধূকে পিটিয়ে আহত

193

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় পারিবারিক বিরোধের জেরে নূরে হাফসা (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে আহত করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার গালিমপুর ইউনিয়নের মুসলিম হাঁটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হাফসা ওই এলাকার মুস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী। এ ঘটনায় এক আসামিকে আটকের পর পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ ভোক্তভোগী পরিবারের।

আহত গৃহবধূ হাফসা জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে জমির ঘাস কাঁটাকে কেন্দ্র করে তার দেবর রাসেলের সাথে তার ও তার স্বামীর ঝগড়া হয়। সে সময়ে তার শ্বাশুড়ি ফিরুজা মেয়ের বাড়িতে ছিলেন। ঝগড়ার খবর শুনে শ্বাশুড়ি তার দুই মেয়ে কনা ও লাভলী ও মেয়ে জামাই আরিফকে সাথে নিয়ে রাতে বাড়িতে এসে লাঠি, ঝাড়– ও ইঁট দিয়ে এলোপাথারি পিটিয়ে হাফসাকে আহত করে।

নির্যাতিতা গৃহবধূর ছোট ভাই মনির খাঁন বলেন, সংবাদ পেয়ে রাতেই আমার বোনকে উদ্ধার কওে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। আমি বাদি হয়ে বোনের শ্বাশুড়ি ফিরুজা (৬০), দেবর রাসেল (২৮), ননদের স্বামী আরিফ (৩০) ও দুই ননদ কনা ও লাভলীকে আসামি করে রাতেই গালিমপুর তদন্ত কেন্দ্রে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। পুলিশ গভীর রাতে আমার বোনের শ্বশুর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আরিফকে আটক করে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যায়। তবে শুক্রবার সকালে জানতে পারি পুলিশ আরিফকে রাতেই ছেড়ে দিয়েছে।

অন্য খবর  সুসংগঠনই পারে নির্বাচনে বিজয়ী করতে; নবাবগঞ্জে সালমান এফ রহমান

নবাবগঞ্জ থানার গালিমপুর তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আল-নূর তারেক ঘটনা স্বীকার করে বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযান চালিয়ে আরিফকে আটক করি। এসময় তার দেবর বাড়িতে না থাকায় ও অন্যান্য আসামিরা নারী হওয়ায় তাদের আটক করা হয়নি। তবে ঘটনার সাথে আরিফের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় এবং সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর সাথে কথা বলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই তারেক।

আপনার মতামত দিন