প্রতিদিনের হাদিস: অত্যাচার, কিসাস ও লুণ্ঠন

148

হাদিস নং ২৪৬০: ‘আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন উতবাহ ইবনু রবী‘আর কন্যা হিন্দা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আমার স্বামী) আবূ সুফিয়ান বখিল ব্যক্তি। তার সম্পদ হতে যদি আমার সন্তানদের খেতে দেই, তাহলে আমার কোন গুনাহ হবে কি? তখন তিনি বললেন, যদি তুমি তাদেরকে ন্যায়সঙ্গতভাবে খেতে দাও তাহলে তোমার কোন গুনাহ হবে না। (২২১১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৯৮)

হাদিসের মানঃ  সহিহ (Sahih)

বর্ণনাকারী রাবীঃ আয়িশা (রাঃ)

হাদিস নং ২৪৬১: ‘উকবাহ ইবনু ‘আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বললাম, আপনি যখন আমাদের কোন অভিযানে পাঠান, আর আমরা এমন গোত্রের কাছে অবতরণ করি, যারা আমাদের মেহমানদারী করে না। এ ব্যাপারে আপনি কী বলেন? তিনি আমাদেরকে বললেন, যদি তোমরা কোন গোত্রের কাছে অবতরণ কর এবং তোমাদের জন্য যদি উপযুক্ত মেহমানদারীর আয়োজন করা হয়, তবে তোমরা তা গ্রহণ করবে, আর যদি তা না করে তবে তাদের কাছ হতে মেহমানের হক আদায় করে নিবে। (৬১৩৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৮২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৯৯)

অন্য খবর  প্রতিদিনের হাদিসঃ জ্ঞান অর্জন

হাদিসের মানঃ  সহিহ (Sahih)

বর্ণনাকারী রাবীঃ উকবাহ ইবনু আমির (রাঃ)

হাদিস নং ২৪৬২: ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ তা‘আলা যখন তাঁর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে তাঁর সান্নিধ্যে উঠিয়ে নিলেন, তখন আনসারগণ বনূ সাঈদা গোত্রের ছায়া ছাউনীতে গিয়ে সমবেত হলেন। আমি আবূ বাকর (রাঃ)-কে বললাম, আমাদের সঙ্গে চলুন। এরপর আমরা তাদের নিকট সাকীফাহ বনূ সাঈদাতে গিয়ে পৌঁছলাম। (৩৪৪৫, ৩৯২৮, ৪০২১, ৬৮২৯, ৬৮৩০, ৭৩২৩)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩০০)

হাদিসের মানঃ  সহিহ (Sahih)

বর্ণনাকারী রাবীঃ উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)

হাদিস নং ২৪৬৩: আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন প্রতিবেশী যেন তার প্রতিবেশীকে তার দেয়ালে খুঁটি পুঁততে নিষেধ না করে। তারপর আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, কী হল, আমি তোমাদেরকে এ হাদীস হতে উদাসীন দেখতে পাচ্ছি। আল্লাহর কসম, আমি সব সময় তোমাদেরকে এ হাদীস বলতে থাকব। (৫৬২৮, ৫৬২৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৮৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩০১)

হাদিসের মানঃ  সহিহ (Sahih)

বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)

হাদিস নং ২৪৬৪: আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি আবূ তালহার বাড়িতে লোকজনকে শরাব পান করাচ্ছিলাম। সে সময় লোকেরা ফাযীখ শরাব ব্যবহার করতেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে আদেশ করলেন, যেন সে এ মর্মে ঘোষণা দেয় যে, সাবধান! শরাব এখন হতে হারাম করে দেয়া হয়েছে। আবূ তালহা (রাঃ) আমাকে বললেন, বাইরে যাও এবং সমস্ত শরাব ঢেলে দাও। আমি বাইরে গেলাম এবং সমস্ত শরাব রাস্তায় ঢেলে দিলাম। আনাস (রাঃ) বলেন, সে দিন মাদ্বীনার অলিগলিতে শরাবের প্লাবন বয়ে গিয়েছিল। তখন কেউ কেউ বলল, একদল লোক নিহত হয়েছে, অথচ তাদের পেটে শরাব ছিল। তখন এ আয়াত নাযিল হলঃ ‘‘যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তারা পূর্বে যা কিছু পানাহার করেছে তার জন্য তাদের কোন গুনাহ হবে না’’- (আল-মা-য়িদাহ ৯৩)। (৪৬১৭, ৪৬২০, ৫৫৮০, ৫৫৮২, ৫৫৮৩, ৫৫৮৪, ৫৬০০, ৫৬২২, ৭২৫৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩০২)

অন্য খবর  আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) 

হাদিসের মানঃ  সহিহ (Sahih)

বর্ণনাকারী রাবীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)

গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী

অধ্যায়ঃ অত্যাচার, কিসাস ও লুণ্ঠন

পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন

আপনার মতামত দিন