দোহার উপজেলার নয়াবাড়ী ইউনিয়নের পদ্মার ভাঙন রক্ষায় বহুপ্রতীক্ষিত নির্মাণাধীন বাঁধের ওপর ইট-বালুর ব্যবসা করছে রাজনৈতিক সিন্ডিকেটের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। প্রতিদিন শত শত ইট-বালুবোঝাই ট্রাক এ বাঁধের ওপর দিয়ে চলাচল করার ফলে বালুবোঝাই বস্তা (জিও ব্যাগ) ছিঁড়ে বাঁধের ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার নয়াবাড়ি ইউনিয়নের পদ্মার ভাঙন রক্ষায় নির্মাণাধীন বাঁধের ওপর ইট-বালুর ব্যবসা করছে রাজনৈতিক সিন্ডিকেটের প্রভাবশালী মাহবুব, খোকন-রাজু গং। ইট-বালু পরিবহনের জন্য ট্রাক চলাচল করার ফলে বালুবোঝাই বস্তা ছিঁড়ে বাঁধের ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা ও বেড়াতে আসা পর্যটকরা। এ সময় আরও দেখা যায়, বাঁধ রক্ষায় ব্যবহার করা জিও ব্যাগেরও ক্ষতি হচ্ছে যেখানে, সেখানে মালবোঝাই ট্রলার থামানোর কারণে এবং ইট ফেলার কারণে। অনেক জিও ব্যাগ এরই মধ্যে ছিঁড়ে গেছে। এরই মধ্যে নির্মাণাধীন চলমান এ বাঁধটি দোহার-নবাবগঞ্জের বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। যেখানে- সেখানে ইট-বালু রাখার কারণে দর্শনার্থীদের চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এমনকি ঠিকাদাররা বাঁধের কাজ করতেও বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা থেকে ঘুরতে আসা আনিসুর রহমান শোভন (৩৫) বলেন, এখানে ঘুরতে আসি বিনোদনের জন্য, এখানে আসার পর ইট-বালুর কারণে ঠিকমতো চলাফেরাও করতে পারছি না।
ঢাকা থেকে আসা কুলসুম বেগম (৩৩) বলেন, বিনোদনের স্থানে ইট-বালুর ব্যবসা মেনে নেওয়া যায় না। চোখেমুখে বালু আসে। কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি নজরে আনতে হবে।
এ বিষয়ে ইট-বালু ব্যবসায়ী মাহবুব (৩৫) বলেন, আমরা বাঁধ নির্মাণের আগেও নদীর পাড়ে ব্যবসা করেছি এবং এখনও করছি। তবে বাঁধের কোনো ক্ষতিসাধন করছি না।
ইট-বালু ব্যবসায়ী খোকন বলেন, বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এখানেই ব্যবসা করে যাচ্ছি। কারও কাছে অনুমতি নেয়নি। বিকল্প ব্যবস্থা হলে আমরা আর এখানে ব্যবসা করব না।
এ বিষয়ে দোহারের উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালমা খাতুন জানান, সরকারি সম্পত্তি কারও কারণে নষ্ট হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে দোহারের ইউএনও আফরোজা আক্তার রিবা বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।