সন্তানকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলুন: সালমা ইসলাম

158

সন্তানকে পরনির্ভরশীল নয়, লেখাপড়া শিখিয়ে আত্মনির্ভরশীল ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলুন। আপনাদের সচেতনতাই পারে একটি সভ্য ও সুন্দর দেশ উপহার দিতে। রোববার সকাল ৯টায় ঢাকার নবাবগঞ্জের কলাকোপা ইউনিয়নের বাঘমারা কোর্ট চত্বরে দরিদ্র-অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপলক্ষে শাড়ি, লুঙ্গি বিতরণকালে সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি এসব কথা বলেন। একইদিন তিনি উপজেলার শোল্লা, যন্ত্রাইল ও কৈলাইল ইউনিয়নে শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ করেন।

তিনি আরও বলেন, দুস্থ অসহায় মানুষের পাশে থেকে তাদের কল্যাণে কাজ করাই আমার রাজনীতির মূল লক্ষ্য। আমাদের সব নেতাকর্মীকে সাধারণ মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ও তাদের মুখে হাসি ফোটার জন্য তৃণমূলে গিয়ে কাজ করতে হবে। তবেই আমরা জনসাধারণের আস্থা অর্জন করতে পারব। পাশাপাশি চলমান উন্নয়ন কাজের গতিকে বেগবান করতে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। আপনারা আমার পাশে থাকলে দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলাকে একটি আধুনিক উপশহরে রূপান্তর করব ইনশাআল্লাহ।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর দীর্ঘ সময় আপনাদের এই অঞ্চলে কোনো উন্নয়ন হয়নি। আপনাদের ভোটে যারা নবাবগঞ্জ ও দোহারের মন্ত্রী ও এমপি হয়েছিলেন তারা আপনাদের এলাকার উন্নয়নে কোনো ভূমিকা পালন না করে নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়ন করেছেন। আগামীতে আপনাদের সহযোগিতা ও ভোটে এমপি নির্বাচিত হলে বৃহত্তম শোল্লা ইউনিয়নের সব অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করব। সংসদ সদস্য সালমা ইসলাম বলেন, আমি প্রতি বছর রমজানে এবং শীতের সময় দোহার ও নবাবগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য সাধ্য অনুযায়ী বস্ত্র বিতরণ করে থাকি। যাতে আমার নির্বাচনী এলাকার দরিদ্র মানুষগুলো পরিবার-পরিজন নিয়ে কিছুটা হলেও ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন যেন প্রতি বছর আমি আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পারি। সালমা ইসলাম এমপি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৪টি ইউনিয়নে নিজে উপস্থিত থেকে ব্যক্তিগত অর্থায়নে প্রতিটি ইউনিয়নে প্রায় দেড় হাজার করে শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ করেন।

অন্য খবর  নবাবগঞ্জের নয়নশ্রী ইউনিয়নে সরকারী চাল নিয়ে চালবাজি

তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে দোহার নবাবগঞ্জের মানুষ এখন অনেক শান্তিতে বসবাস করছে। আগের মতো হানাহানি, দখলবাজ, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের সুযোগ নেই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় নেতা খন্দকার নুরুল আনোয়ার বেলাল, ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম মাস্টার, জাতীয় পার্টি নেতা খলিলুর রহমান, একেএম আবদুল হালিম, এমএ মজিদ, আসাদুজ্জামান চৌধুরী রানা, সাহিদুল হক খান, মো. আয়নুল চৌধুরী, মো. নুরুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম স্বপন, মো. মতিন মেম্বার, আবদুল হালিম, আবদুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন মোল্লা, আবদুস সালাম, হামিদা আক্তার, খলিল দেওয়ান, মিজানুর রহমান, শুভ্র তালুকদার প্রমুখ।

আপনার মতামত দিন