দুর্গম পার্বত্যাঞ্চলের এক লাখ ২০ হাজার শিশু পাবে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা

655
দুর্গম পার্বত্যাঞ্চলের এক লাখ ২০ হাজার শিশু পাবে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা

পার্বত্য চট্টগ্রামের ২৬ টি উপজেলার ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য প্রস্তুত করে তোলার লক্ষ্যে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার আওতায় আনা হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বাসস’কে জানায়, প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে তালিকাভূক্তির জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের ২৬ টি উপজেলার পাঁচ হাজার দুর্গম এলাকার শিশুদের প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করা হবে।

এরপর এসকল শিশুকে নিয়মিত পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি কারিগরি ও বৃত্তি ভিত্তিক শিক্ষা প্রদান করা হবে বলে তিনি জানান।

এ লক্ষ্যে সরকার ‘সাসটেইনেবল সোসাল সার্ভিস ফর হিলট্রাকস্’ নামক চারশ’ ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের গ্রহণ করেছে যা আগামী ২০২১ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা রয়েছে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান। প্রকল্পটিতে পার্বত্যঞ্চলের রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার ২৬ টি উপজেলার পাঁচ হাজার দুর্গম এলাকা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি শিশু ও পরিবারগুলোর মৌলিক সামাজিক সেবাসমূহ নিশ্চিত করতে দুর্গম এলাকায় স্থানীয় পর্যায়ের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে।

এছাড়া শিশু, কিশোরী ও নারীর অপুষ্টি হ্রাসের পাশাপাশি সামাজিক সক্ষমতা জোরদার করতে প্রকল্পের আওতায় দুই লাখ ছয় হাজার পরিবারের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির প্রচারাভিযান চালানো হবে।

অন্য খবর  প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাঃ জেলায় ৫০ হাজারের বেশি আবেদন, পরীক্ষা হবে কয়েক ধাপে

প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হলো, নতুন এক হাজার ২৫ টি আঞ্চলিক কেন্দ্র, চলমান চার হাজার আঞ্চলিক কেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণ এবং তিনটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।

প্রকল্পের আওতায় শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি, সুপেয় পানি, পয়ঃনিষ্কাশন এবং স্বাস্থ্য পরিচর্যামূলক কার্যক্রম রয়েছে।

সরকার পার্বত্য অঞ্চলের অনগ্রসর জনগোষ্ঠির জন্য চট্টগ্রাম ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের আওতায় ১৯৮০ সাল থেকে মৌলিক সামাজিক সেবাসমূহ প্রাদন করে আসছে এবং এই কার্যক্রমসমূহ ১৯৯৭ সালে শান্তি চুক্তির পর আরও তরান্বিত করা হয়েছে।

সরকারের পাশাপাশি ইউনিসেফও পার্বত্যাঞ্চলের এসকল অনগ্রসর জনগোষ্ঠির জন্য সহযোগিতা করে আসছে।

আপনার মতামত দিন