ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস দোহারে ঝটিকা সফর করেছেন। এই সফরে তিনি দোহারের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন এবং দোহারে কি কি উন্নয়ন কাজ হচ্ছে তা পরিদর্শন করেন। এই সফর শেষে তিনি দোহার উপজেলা মিলনায়তনে এক উন্মক্ত মত বিনিময় সভার আয়োজন করেন। দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার রিবার সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান।
এর আগে জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান দোহারের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ পরির্দশন করেন তার সাথে ছিলেন দোহার উপজেলা দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার রিবা ও দোহার থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ সিরাজুল ইসলাম। তিনি দোহার উপজেলা উন্নয়ন কাজ সহ দোহারের স্কুল গুলো ঘুরে দেখেন। এর পর তিনি মতবিনিময় সভায় যোগদান করেন
এই মতবিনিময় সভায় দোহারের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান,কলেজ ও উপজেলায় বিভিন্ন কর্মচারী উপস্থিত ছিল। তখন চেয়ারম্যানরা জেলা প্রশাসকের কাছে তাদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।
এ সময় নয়াবাড়ি ইউনিয়নের বাহ্রা হাবিল উদ্দিন স্কুল এর ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান বলেন যে ঐ স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে পরীক্ষা বাবদ জন প্রতি ৪০০ টাকা নিচ্ছে। তিনি দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার রিবাকে ব্যাপারটা সম্পর্কে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন।
এই মতবিনিময় সবায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রজব আলী বলেন যে আমাদের দোহারে একটি মুক্তিযোদ্ধা যাদুঘর আছে এটি এখন নিস্ক্রিয় এটি সক্রিয়তা করা প্রয়োজন। তখন জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান বলেন যে এটা আমরা এই বিষয়টি দেখবো। এই মতবিনিময় সভায় আরো কিছু প্রত্যাশা তুলে ধরেন তার সামনে সেই গুলো হল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংখ্যা ৩৬ টি, নতুন আরো প্রয়োজন। শিক্ষক শিক্ষিকা দরকার ১৪২ জন, মাধ্যমিক স্কুল ১৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা দরকার, কলেজ/মাদ্রাসা /স্কুল শূন্য পদের সংখ্যা ৩৫ জন,৮টি ক্লিনিক ও ২৫ জন ডাক্তার দরকার, শিশুদের টিকার হার বৃদ্ধি করতে হবে,ওয়ার্ডে পাকা সড়কের দৈর্ঘ্য (কিঃমিঃ)১৭০, কাঁচা রাস্তা ২১৩ কিঃ মিঃ দরকার, মহিলাদের সযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে, মাদকাসক্তি শূন্যর কোটায় নামিয়ে আনতে হবে, ইভটিজিং শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে হবে, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেবা সংখ্যা আর বাড়াতে হবে, সরকারি সেবার মান বাড়াতে হবে, সারের মূল্য কমাতে হবে, সমিতির সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে, বিদেশ যাত্রা বৃদ্ধি করতে হবে, টিউবওয়েল দরকার ১৫৭৮ টি, আশ্রয়ন প্রকল্প হতে সুবিধাভোগীর সংখ্যা ২৭৫১ টি পরিবার, বিদ্যুৎ সুবিধা ১০০%।
জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান এই প্রত্যশা দেখে বলেন যে আমি এরকম সুন্দর প্রত্যাশা আর কোন উপজেলায় দেখি নাই। আমি আরো কয়েকটা উপজেলায় গিয়েছি কিন্তু সেখানে দেখেছি যে এটা বিষয়ই তারা বার বার চেয়েছে এবং তিনি সর্বশেষ বলেন যে আমি এই বিষয় গুলো জেলা প্রশাসক মিটিং এ বলবো।