ঢাকা বান্দুরা সড়কে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ২৫

ঢাকা বান্দুরা আঞ্চলিক মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে যাত্রীবাহী বাসটি খাদে পড়ে  অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে।  গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় মুন্সিগঞ্জ জেলার খারশুর এলাকায় তালতলায় এ দূর্ঘটনা ঘটে।  যাত্রীবাহী বাসে থাকা আহত যাত্রীদের মধ্যে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও প্যারাগণ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৪ জন।

আহতরা হলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের ফারুক আহমেদের মেয়ে সাক্ষী আক্তার (১৭), নবাবগঞ্জের শোল্লা গ্রামের আশরাফের স্ত্রী আয়শা বেগম (২৮) একই উপজেলার বাহ্রা গ্রামের আনিসুর রহমানের স্ত্রী সালমা রহমান (৩৫), সমসাবাদ গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে আমির হোসেন (৫৯), ঐ গ্রামের মোয়াজ্জেমের ছেলে মনির হোসেন ( ৪০), বলমন্তচর গ্রামের নুরুদ্দীনের ছেলে মো. টিপু (৫৫), দোহার চরভদ্রসন এলাকার মোশারফ হোসেনের মেয়ে তাশফিরা (২২), ফরিদপুর ভাঙ্গা থানার লাল মিয়ার স্ত্রী অজিফা বেগম (৫৫), জামালপুর জেলার শাহবাজ উদ্দিনের ছেলে শাহজামাল (৩৫), ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া এলাকার হাবীবুর রহমানের ছেলে ফেরদৌস আলী (৩৫), দোহার থানার কুসুম হাটির বাস্তা গ্রামের আব্দুস সোবহানের স্ত্রী মিরা আক্তার (৬২) তার মেয়ে ফাতেমাতুছ জহুরা (২৫), একই উপজেলার ঐ গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মিজানুর রহমান মুন্না (২৫) ঐ  উপজেলার লক্ষিপ্রসাদ গ্রামের দুলাল মুন্সির ছেলে বেল্লাল মুন্সি (৬৫)।

অন্য খবর  বাশার চোকদারেরে নেতৃত্বে বিশাল রোড শো

এছাড়া অন্যরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় ও প্রতক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ১১ টার দিকে ঢাকার দোহার উপজেলার মৈনট ঘাট থেকে দ্রুত পরিবহন সার্ভিস নামে একটি যাত্রীবাহী বাস যাহার নং-ঢাকা মেট্রো ব ১১-৬৪৮৩, ৩০/৩৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বাসটি নবাবগঞ্জ হয়ে দুপুর ১২ টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার খারশুর তালতলা সামনে আসলে  ঢাকা থেকে আসা একটির সিএনজির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় সিএনজিটি বাসের ধাক্কায় চেপ্টা হয়ে যায় এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি খাদে পড়ে যায়। এতে বাস ও সিএনজির যাত্রীসহ প্রায়২৫ জন আহত হয়। স্থানীরা আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।

খবর পেয়ে শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্শন করেণ। ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান বলেন আমরা এখানে এসে দূর্ঘটনা কবলিত বাসটি পুরোদমে সার্চ করি বাসের নিচে কোন মরদেহ রয়েছে কিনা। আমরা কোন কিছু না পেয়ে পরে আমরা বাসটি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি।

সিরাজদিখান থানার শেখর নগর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

আপনার মতামত দিন