নববর্ষের দিন ৫টার পর বাড়ি গিয়ে আত্মীয়কে সময় দিন – স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

177

নববর্ষের দিন ৫টার পর উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান না করে বাড়ি গিয়ে আত্মীয়-স্বজনকে সময় দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা সব সময় বলে আসছি বাইরে এই ধরনের (নববর্ষের) অনুষ্ঠান করা যাবে না। হলরুমে কিংবা কনভেনশন হলে, কমিউনিটি সেন্টারে, বাসার ভেতরে অনুষ্ঠান করতে কোন বাধা নেই। শুধু উন্মুক্ত স্থানে আমরা ৫টার পর অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বলেছি। মন্ত্রী বলেন, শুধু রবীন্দ্র সরোবরে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলবে। আমরা সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করব। সার্চলাইট স্থাপন করব। হাতিরঝিলে আগে যেভাবে অনুষ্ঠান চলছিল সেভাবেই চলবে। হাতিরঝিলে সব সময়ই মানুষের ঢল নামে। আমরা তো মানুষের ঢল থামাতে পারব না। আমরা বলব, অনুষ্ঠানগুলো যাতে ৫টার মধ্যেই শেষ করে দেয়।

বিকেল ৫টার পর অনুষ্ঠান করতে দেয়া হবে না- কোনো হুমকি থেকে এটা করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোন হুমকি নেই। আমরা সবসময় বলছি সতর্কতা অবলম্বনের জন্য আমরা এসব ব্যবস্থা নিচ্ছি। তিনি বলেন, নিরাপত্তা সবার আগে। আমরা বলছি, ৫টার পর যার যার বাড়িতে চলে যান। বাড়িতে গিয়ে অনুষ্ঠান করেন, আত্মীয়-স্বজনকে সময় দেন। কিংবা ঘরের ভেতরে অনুষ্ঠান করেন, হলরুমে অনুষ্ঠান করেন।

অন্য খবর  ফরমালিন মুক্ত জয়পাড়া বাজার

রমনার বটমূলে বাংলা বর্ষবরণের মূল অনুষ্ঠান হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পুরো অনুষ্ঠান এলাকা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল জোরদার থাকবে। প্রতিটি অনুষ্ঠানেই ইভ টিজিং প্রতিরোধ টিম থাকবে এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ থাকবে।

নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে রমনা পার্ক, হাতিরঝিলসহ বিভিন্ন পয়েন্টে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘ঢাকার অনুষ্ঠানগুলো মনিটরিংয়ের জন্য ওয়াচ টাওয়ারের পাশাপাশি আকাশ থেকেও মনিটরিং করা হবে। নববর্ষের কোনো অনুষ্ঠান স্থলে ব্যাগপ্যাক, ট্রলিব্যাগ, হ্যান্ডব্যাগ, লাইটার কিংবা ধাতব পদার্থ বহন করা যাবে না বলেও জানান মন্ত্রী।

মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুখে মুখোশ নয়, ভুভুজেলাও নিষিদ্ধ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে যে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হবে, পুরো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে নিরাপত্তা বাহিনী কর্ডন করে নিরাপত্তা দেবে। মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুখোশ মুখে না লাগিয়ে এটা হাতে প্ল্যাকার্ড হিসেবে বহন করতে হবে।তিনি বলেন, আমরা কোনো জায়গায়ই ভুভুজেলা বাঁশি বাজাতে দেব না।

রাজধানীতে আরও দুটি মঙ্গল শোভাযাত্রা
মূল মঙ্গল শোভাযাত্রা ছাড়া রাজধানীতে আরও দুটি শোভাযাত্রা বের হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ (দক্ষিণ) বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করবে যেটা বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে শেষ হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরেকটি মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হবে।

আপনার মতামত দিন