তরুণরা শিক্ষিত হলে সমাজ ও দেশ আলোকিত হবে। উন্নত সমাজ বিনির্মাণে তরুণদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। গুণগত মানের শিক্ষা অর্জন করে দেশকে একদিন নেতৃত্ব দিতে হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার নবাবগঞ্জ পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন। এমপি সালমা ইসলাম এ সময় আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নারীদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন দিকও তুলে ধরেন। একইদিন তিনি বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এই দুটি প্রতিষ্ঠানেরই তিনি একসময় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। অনুষ্ঠানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সাবেক প্রতিমন্ত্রীকে শিক্ষার্থীরা গার্ড অব অনার প্রদান করে। তিনি তাদের সালাম গ্রহণ করেন।
সালমা ইসলাম এমপি আরও বলেন, জাতিকে সুন্দরভাবে গড়তে যেমন শিক্ষার বিকল্প নেই, তেমনি খেলাধুলা শরীর গঠন এবং মানসিক বিকাশে সহায়তা করে। অপরাধ প্রবণতা থেকে তরুণ-তরুণীদের বিরত থাকতে সাহায্য করে। তাদের সামজিক মূল্যবোধ রক্ষায় সচেতন করার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষাও দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা ইংরেজি শিক্ষায় পিছিয়ে থাকে। তাদের মন থেকে আগে ভীতি দূর করতে হবে। তবেই তারা ওই বিষয়ে ভালো করবে। আমি শিক্ষকদের বলব, আপনারা দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলুন। তাহলেই বাংলাদেশ একদিন সারা বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে পারবে। সাবেক প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। দোহার ও নবাবগঞ্জকে একটি উন্নত অঞ্চলে পরিণত করাই আমার জীবনের স্বপ্ন। আপনারা যাতে ভালো থাকেন, আপনাদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার অভিপ্রায় পূরণে আমি দুটি কলেজ ও দুটি বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেছি। এ সময় তিনি দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলায় গত চার বছরে তার আমলে বর্তমান সরকারের সহযোগিতায় রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, ব্রিজ-কালভার্ট, বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণসহ হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা, বিদ্যুতায়ন ও নদীভাঙন রোধে উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন।
এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ, ওসি মোস্তফা কামাল, দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন, প্রধান শিক্ষক নাজমুন নাহার, নজরুল ইসলাম, বাগমারা স্কুলের সভাপতি নজরুল ইসলাম প্রমুখ।