কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দোহার-নবাবগঞ্জে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ রেখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীরা (সিএইচসিপি)। এতে রোগীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষ চিকিত্সা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
উপজেলার বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিক কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সবগুলো কেন্দ্রে তালা ঝুলানো রয়েছে এবং সেবা নিতে আসা রোগীরা ক্লিনিক বন্ধ দেখে সেবা না নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
নয়াবাড়ি ইউনিয়নের সজিব হোসেন বলেন, ধোয়াইর কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে গত দুদিন ক্লিনিকে এসে চিকিত্সা সেবা না নিয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। আমরা গরিব মানুষ এসব সেন্টার থেকে সেবা গ্রহণ করি। কিন্তু এভাবে ক্লিনিক বন্ধ থাকলে আমরা সাধারণ মানুষ কোথায় যাবো। একই চিত্র দেখা যায় দোহার নবাবগঞ্জের সব কমিউনিটি ক্লিনিকে।
বাংলাদেশ সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, চাকরি জাতীয়করণ না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লিনিকে চিকিত্সা সেবা প্রদান থেকে বিরত থাকবেন। কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ রেখে বাধ্য হয়েই আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। ইতিপূর্বে একাধিকবার সরকারের পক্ষ থেকে চাকরি জাতীয়করণের আশ্বাস প্রদান করা হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
উল্লেখ্য স্বাস্থ্যসেবা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার ইউনিয়ন পর্যায়ে চালু করে কমিউনিটি ক্লিনিক। কিন্তু গত ১৮ জানুয়ারি থেকে চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ঐ স্বাস্থ্যকর্মীরা কর্মসূচি পালন করছেন। নবাবগঞ্জ উপজেলার মোট ৩৫টি ও দোহার উপজেলায় ১৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক-এর সিএইচসিপি স্বাস্থ্যকর্মীরা এ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। এসব ক্লিনিকে অসহায়, দরিদ্র, দিনমজুর ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের নারী পুরুষ, বৃদ্ধ, শিশুরা প্রাথমিক চিকিত্সা নিয়ে থাকে। এর পাশাপাশি ওজন মাপা, সুগার পরীক্ষা, উচ্চতা মাপা, নিরাপদ গর্ভধারণের জন্য বিভিন্ন পরামর্শ, পোলিও টিকা ক্যাম্পিংসহ বিভিন্ন রোগের প্রাথমিক চিকিত্সা ও পরামর্শ দেওয়া হয় ক্লিনিক থেকে। প্রতিটি ক্লিনিকে প্রায় ২/৩ শ রোগী চিকিত্সা সেবা নিয়ে থাকেন। রোগীদের মধ্যে প্রায় ৩০ প্রকারের ওষুধ বিতরণ করা হয়।