জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের মামলার রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপির পাশাপাশি মাঠে থাকার ঘোষনা দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সেই ঘোষনাকে কেন্দ্র করে সারাদেশের মতো দোহারেও সকাল থেকে সরব উপস্থিতি ছিল দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা। তবে এই অবস্থানের কারনে আবার স্পষ্ট হয়েছে দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের গ্রুপিং। দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিস ও শ্বশানের পাশে পাশি অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগের এই দুই গ্রুপ।
সকাল থেকেই মিছিলে মিছিলে সরগরম ছিল জয়পাড়া। দোহার উপজেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী লীগের মিছিলে নেতা কর্মীদের উপস্থিতি ছিল দেখার মতো। সকাল বেলা থেকেই দোহার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিটের নেতা কর্মীরা এসে উপস্থিত হন। এই সময় আওয়ামী লীগের গ্রুপিং এর ব্যাপারটা আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ। এই সময় তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলী আহসান খোকন শিকদার, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য সুরুজ আলম সুরুজ, বাংলাদেশ আওয়ামী মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনারকলি পুতুল, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আলমগীর হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা গিয়াসউদ্দিন সোহাগসহ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা।
এর ঠিক অপর পাশে দোহার উপজেলা যুবলীগের করা এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের জন্য করা প্যান্ডেলে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগের অপর গ্রুপের নেতা কর্মীরা। এই সময় এই স্থানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ফজলুল হক, দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুল, আওয়ামী লীগ নেতা মোতালেব খান, দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নুরুল হক বেপারী, দোহার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রজ্জব মোল্লা, দোহার উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলমাসউদ্দিন, দোহার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি বাশার চোকদারসহ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা।