শাকিল আহমেদ;নিউজ৩৯ঃ দোহার,নবাবগঞ্জ, কেরাণিগঞ্জসহ সারাদেশে ভাবগাম্ভীর্য আর ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব বাণী অর্চনা, বিদ্যার দেবী শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা উদযাপিত হয়েছে।বিদ্যাদেবীর কৃপালাভের আশায় সোমবার রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ঘরে ঘরে এই পূজা উদযাপিত হয়। এছাড়া বিদ্যার এই দেবীকে স্মরণ করেছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ক্লাবের হিন্দু ধর্মীয় শিক্ষার্থীরা। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো আরাধনা করা হয় দেবী সরস্বতীর। সকাল থেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে আসতে শুরু সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। তারা দেবীর কাছে নিজেদের আর কলেজের উত্তর উত্তর সাফল্য প্রার্থনা করে। এ সময় দোহারের ঐতিহ্যবাহী পদ্মা কলেজের ক্যাম্পাসে স্নাতক ২য় বর্ষের ছাত্রী অপর্ণা ঢালী বলেন, ” মা প্রতি বছর আসেন শান্তির বার্তা নিয়ে। মা যেন সবার বিদ্যার ঝুলি পূর্ণ করুক এই কামনায় করি মায়ের কাছে”। সোমবার দোহারের অন্যান্য পূজা মণ্ডপ গুলোতে সকাল থেকেই ভক্ত ও বিদ্যার্থীদের ভীর লক্ষ্য করা যায়। কেউ কেউ আবার দেবীর সামনে নিজ নিজ সন্তানদের হাতেখড়ির অনুষ্ঠানটি সেরে নেন। দেবীর পায়ে অঞ্জলি প্রদান ও প্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় পুজার মূল আনুষ্ঠানিকতা।
মন্দির ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পূজা ছাড়াও অন্য অনুষ্ঠানমালায় ছিল পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, ধর্মীয় আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা আরতি এবং আলোকসজ্জা। রাজহাঁসে বসে বিদ্যা ও জ্ঞানদাত্রী দেবী আসেন এ দিনেই। প্রতিবছর মাঘ মাসের শুক্ল পক্ষের পঞ্চমী তিথিতে শ্বেতশুভ্র কল্যাণময়ী বিদ্যাদেবীর আবাহন করা হয়। ঢাক-ঢোল-কাঁসর আর শঙ্খধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ।
সরস্বতী বিদ্যার ও ললিতকলার অধিষ্ঠাত্রী দেবী হিসেবে পূজিত হন।ঐশ্বর্যদায়িনী, বুদ্ধিদায়িনী, জ্ঞানদায়িনী, সিদ্ধিদায়িনী, মোক্ষদায়িনী এবং শক্তির আধার হিসেবে সরস্বতী দেবীর আরাধনা করা হয়।