২০১৫ সালে গৃহবধুকে ইভটিজিং করার দায়ে ছয় মাসের কারাদ- প্রাপ্ত আসামী ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সজল আহম্মেদ এখনো স্বপদে তবিয়তে বহাল রয়েছেন। নিজের অবস্থান শক্ত করতে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর নিজ গ্রামে (ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী এলাকায়) আয়োজন করেছেন নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা। যেখানে অতিথী করা হয়েছে ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমন ও ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. পনিরুজ্জমান তরুণকে। এমন ঘটনায় হতবাক স্বয়ং উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা ছাত্রলীগের সুনাম নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন। এছাড়াও দাওয়াতি কার্ডে ব্যবহার করা হয়েছে ঐ ছাত্রলীগ নেতার নাম ও পদবী। এ ঘটনায় আরও ক্ষিপ্ত হয়েছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
জানা যায়, ২০১৩ সালে ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে স্থান পায় ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের খানেপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে সজল আহম্মেদ। এরপর ২০১৫ সালে তার গ্রামের এক গৃহবধুকে প্রেমের প্ররোচনায় ফেলে ধর্ষণ করে। পরে ঐ গৃহবুধর পরিবারের অভিযোগে ভিত্তিতে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আদলতে হাজির করলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করে ।
এ বিষয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, “এখনো অনেক ভাল-ভাল ছেলে আছে যারা ছাত্রলীগে কোন পদে এখনো আসতে পারেনি। সজলের মতো এরকম খারাপ ছেলে-পেলেকে দল থেকে বহিস্কার করে দলে নতুনদের জায়গা করে দিতে হবে।”
এ বিষয়ে নয়নশ্রী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরু উদ্দিন পত্তনদার ইভটিজিং কারি সজলের ঘটনাটি সত্য বলে স্বীকার করে বলেন, “বিষয়টি ছাত্রলীগের তাই আমাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। তবে এ রকম খারাপ ছেলে-পেলেকে দল থেকে বাদ দেয়া একান্ত দরকার। তা না হলে দলের সুনাম ক্ষন্ন হবে।”
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইকরামুন নবী ইমু ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাজিবের মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তারা ফোন রিসিভ করেননি। তবে সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ তানজিল হোসেন অপু বলেন, “সজলের অপকর্মের কথা শুনেছি। তাকে দল থেকে বহিষ্কার করার প্রক্রিয়া চলছে।”