ছবিটি দেখে মনে হতে পারে কোন জলাশয় কিংবা পুকুরের। কিন্তু না দোহার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের আজাহার আলী রোডের চিত্র এটি । পূর্ব লটাখোলা, পশ্চিম লটাখোলা, উত্তর লটাখোলা, চর লটাখোলার কিছু অংশ এবং লটাখোলা বিলের পাড়ের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত দোহার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড। এখানকার প্রায় প্রতিটি রাস্তাতে সামান্য বৃষ্ঠিতেই চোখে পড়ে এমন জলাবদ্ধতা। ওয়ার্ডটিতে নেই কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা। লটাখোলা চাঁদতারা ক্লাবের সামনে থেকে মরা গাং পর্যন্ত একটি ড্রেন নির্মানের কাজ আরো পাঁচ বছর আগে কিছুটা শুরু হলেও বর্তমানে তা থেমে আছে অর্থ সংকটের কারনে। ফলে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এবং খাল বিল ভরাট করে ফেলায় বৃষ্টির পানি সরতে না পেরে তা রাস্তায় সৃষ্টি করছে জলাবদ্ধতার। এখন চলছে কালবৈশাখীর মৌসুম প্রায় প্রতিদিনই হচ্ছে ঝড় বৃষ্টি। ফলে পানি কোথাও সরতে না পেরে সৃষ্টি করছে জলাবদ্ধতার। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। একটু সামনেই রয়েছে লটাখোলা শাহী জামে মসজিদ তারপাশেই লটাখোলা আজাহার আলী মেমোরিয়াল হাই স্কুল। রাস্তায় জলাবদ্ধতার কারনে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে মসজিদগামী মুসল্লি এবং স্কুলগামী হাজারো ছাত্র ছাত্রীদের। রাস্তায় ময়লা পানি জমে থাকায় তা থেকে জন্ম নিচ্ছে মশা মাছি এছাড়াও ময়লা পানিতে চলাচলের জন্য দেখা দিচ্ছে চুকলকানীসহ নানা রকম সমস্যার। ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান অভিযোগ করে নিউজ থার্টিনাইনকে বলেন, দেশের প্রথম শ্রেনির পৌরসভায় বসবাস করছি, নিয়মিত পরিশোধ করছি পৌরকরও । অথচ আমরা পৌরসভার তেমন কোন সুযোগ সুবিধাই পাচ্ছিনা। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। কি লাভ এমন পৌরসভা থেকে ? এর চেয়ে পৌরসভা না থাকাই অনেক ভাল।
এ বিষয়ে দোহার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বদরুল ইসলাম নিউজ থার্টিনাইনকে জানান,”আজাহার আলী স্কুল রোডে জলাবদ্ধতার বিষয়ে আমি অবগত আছি। অতিশীঘ্রই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে”।