দোহার উপজেলার নারিশা এলাকার ইমান আলী ফকির হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল ২১ মার্চ মঙ্গলবার ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রদীপ কুমার রায় এ রায় ঘোষণা করেন রায়ে একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামীর ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও ১ বছরের কারাদ- দিয়েছেন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রুবেল, মোশারফ হোসেন ওরফে মোশা, আরিফুল ইসলাম ওরফে নয়ন, জহির, মহিউদ্দিন ওরফে মহিন।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে জহির আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে কারাগারে পাঠান আদালত। মামলার অপর চার আসামি পলাতক রয়েছেন। মামলায় বলা হয়, ২০০৬ সালের ১৪ মার্চ সকালে ইমান আলী দোহার থানাধীন হলের বাজার হতে বাড়ি ফেরার পথে সুতারপাড়া হোসেনের বাড়ির সামনের রাস্তায় পৌঁছালে আসামিরা তার মাথায় বাড়ি দিয়ে খুনের চেষ্টা করে। তিনি মাথা নিচু করে ফেললে আঘাত তার পিঠে লাগলে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়। এরপর আসামিরা ইমান আলীকে হকিস্টিক, লোহার রড দিয়ে পায়ে, পিঠে, উরুতে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে মৃত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। পরবর্তীতে ভিকটিমের অবস্থা আশংকাজনক হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে ওইদিনই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ওই ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. মুকসিদুল দোহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের পর ওই বছর ২৮ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। পরের বছর ১২ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে আদালত। মামলাটির বিচারকালে আদালত ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।