নবাবগঞ্জ উপজেলার দত্তখন্ড গ্রামের প্রায় হাজার একর বসতবাড়ি, ফসলি জমি, ডাঙা, পুকুর সিএস, এসএ, আরএস রেকর্ডভুক্ত জমি স্থানীয় ভূমিদস্যুরা দখলে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভূমিদস্যুরা প্রভাবশালী হওয়ায় ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জমির প্রকৃত মালিকরা। ভূমিদস্যুরা জমির মাটি কেটে সাবাড় করছে। বাধা দিতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলেও ভুক্তভোগীরা জানায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় হাজার একর জমি দখলকারি প্রভাবশালী ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে জমির মালিকরা থানায় একাধিক অভিযোগ করার পরও দখল ছাড়ছে না। জমির বিষয় কথা বললেই প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে উল্টো চাপে রেখেছেন জমির প্রকৃত মালিকদের। অভিযুক্তরা হলেন, দত্তখন্ড গ্রামের তোতা সরকার @ মজবুত আলী (৭৫), কাউছার (৫০), সাধু মিয়া (৭৫), কালু মিয়া (৭৮), হানিফার (৬০), চাঁন মিয়া (৫৮), ফরহাদ (৫৬), খেজমত আলী (৬৫), হাবু (৪৫), শফি (৫০), বাদল ( ৪৮)। এদের বিরুদ্ধে জমি দখল ও হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়।
রেকর্ডভুক্ত ও ক্রয়কৃত জমির ওয়ারিশ আবু সাইদ বলেন, থানা পুলিশে অভিযোগ দিয়েও কোনো কাজে আসছে না। তাদের অত্যাচারে এলাকায় বসবাস করাই কঠিন। জমির বিষয়ে কেউ কথা বললে তাকে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করে ভূমিদস্যুরা। এমনকি মালিকরা জমির কাছে গেলে হত্যার হুমকি দেয় ওরা। ফলে ঐ চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে আছে এলাকাবাসী।
একই ধরনের অভিযোগ ঐ এলাকার জমির মালিক মজিবর মৃধার ছেলে ফারুক মৃধা, খলিল মৃধা, অলি মৃধার। ফারুক মৃধা অভিযোগ করেন, আমার দাদার বাবা সফুর মৃধা এলাকার জমিদার ছিলেন। ভূমিদস্যুরা আমাদের বিপুল পরিমাণ জমি গ্রাস করে আছেন। সিএস ও এসএ রেকর্ডও রয়েছে তার নামে। তারা আমাদের কয়েক একর ফসলি জমির মাটি বিক্রি করে ঐ টাকায় আমাদের বিরুদ্ধে মামলা চালাচ্ছেন। হামলার ভয়ে দখলদারদের কিছু বলার সাহস পাই না।
ভূমি দখলদার কাউছার বেপারী বলেন, কারো জমি দখলের প্রশ্নই উঠে না। তারা কাগজ কলমে প্রমাণ করতে পারলে জমি ফেরত দিয়ে দেবো। আরএস রেকর্ডের ভিত্তিতে জমির মালিকানা হয়ে ভোগদখলে আছি। তবে ফসলি জমির মাটি কাটা এবং বিক্রির বিষয়টি তিনি অবৈধ বলে স্বীকার করেন। এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল নিউজ ৩৯ কে বলেন, এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর নির্দেশ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। নবাবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহনাজ মিথুন মুন্নি বলেন, “সরজমিনে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে”।