ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দুইপাশে লেগে গিয়েছে উন্নয়নের ছোঁয়া। নতুন কল-কারখানা, বানিজ্যিক বহুতল ভবন, আবাসিক এলাকা ও সরকারী স্থাপনা গড়ে উঠছে রাস্তার দুই পাশে। উন্নয়নের এ গতি যাকে ঘিরে সেই স্বপ্নের পদ্মাসেতুর নির্মানকাজ কতটুকু এগুলো তা ক্যামেরাবন্দী করেছে নিউজ৩৯.নেট।

# পদ্মাসেতুর দুইপাশে এপ্রোচ সড়ক নির্মানের কাজ প্রায় সমাপ্ত করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেড।

এপ্রোচ সড়ক

# পদ্মাসেতুর টোল-প্লাজা নির্মানের কাজও সমাপ্তির পথে।

টোল প্লাজা

# এপ্রোচ সড়ক নির্মান কাজে ব্যবহৃত নির্মান যন্ত্র ও নির্মানসামগ্রী এরকম শেডগুলোর ভেতরে রাখা হয়। সেতুর দুইপাশে নির্মান সামগ্রীবাহী বড় কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাকের আনাগোনা বেশ লক্ষ্য করার মতো। নির্মানসামগ্রী উৎপাদনকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় অনেক কারখানা। নির্মানকাজের পুরো এলাকা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক সংরক্ষিত।

এপ্রোচ রোড শেড

# আব্দুল মোনেম লিমিটেডের এসফাল্ট মিক্সিং প্লান্ট।

মিক্স প্লান্ট

# পদ্মাসেতুর পাইল তৈরির নির্মানসামগ্রী ও মূল স্ট্রাকচার একাধিক অটোমেটিক মনোরেল ক্রেনযুক্ত বিশাল আয়তনের এই শেডের ভেতর রাখা হবে।

শেড মেজর ব্রিজ

# পদ্মাসেতুর মূল অবকাঠামো নির্মানে ব্যবহৃত হেভি লিফটিং ক্রেন যা জলপথ ও স্থলপথে সমান পারদর্শীতার সাথে কাজ করতে পারে।

ক্রেন

# পদ্মাসেতুর নির্মানকাজে ব্যস্ত মাওয়া অংশ। দূর থেকে যার সৌন্দর্য চোখে পড়ার মতো।

অন্য খবর  ঢাবি ক্যাম্পাসে বিপ্লবের গ্রাফিতি ঘুরে দেখলেন প্রধান উপদেষ্টা

মাওয়া

# “ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্পের আওতাধীন” নদীর স্বাভাবিক নাব্যতা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে বিআইডাব্লুটিএ’র ড্রেজার মেশিন।

ড্রেজার

# একই সাথে ড্রেজিং ও বালু ভরাট করে পদ্মাসেতুর নির্মানকাজের বিভিন্ন পয়েন্ট তৈরি করা হচ্ছে।

ড্রেজার০১

# পদ্মার গভীরতাকে হার মানিয়ে পাইলিং কাজ চলছে জোরেশোরে।

পাইল

# মাঝ নদীতে পাইলিং কাজে ব্যস্ত চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের নির্মানযন্ত্র।

চায়না

# ভাঙ্গনের হাত থেকে পদ্মাপাড় রক্ষায় বাঁধ নির্মানে কাজ করছে চায়নার সিন হাইড্রো কর্পোরেশনের ভাসমান নির্মানযন্ত্র। ছবিটি কাওরাকান্দি পয়েন্ট থেকে তোলা।

সিনহাইড্রো

# নদীপাড়ে বাঁধ নির্মানের জন্য ব্লক ও রিপর‍্যাপ প্রস্তুত করা হচ্ছে।

ব্লক

# ধনী পদ্মা কখনো তার সম্পদ আহোরন করতে আসা মানবসন্তানকে বঞ্চিত করে না তাই এই নির্মানকাজের মাঝেও নদীতে মাছ ধরছে জেলেরা দেখা মিলছে বড় মাছ ধরার ট্রলারের। এ যেন প্রকৃতি ও শহরায়নের সহাবস্থান।

পদ্মায় মাছ ধরা

পদ্মাসেতুর ৩০ভাগ কাজ ইতিমধ্যে শেষ করে ফেলেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ধারনা করা হচ্ছে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর নাগদ সেতু নির্মানের কাজ শেষ হবে। পদ্মাসেতু চালু হলে দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দেড় শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

আপনার মতামত দিন