মাহাবুবুর রহমান-ই হতে যাচ্ছেন ঢাকা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান

    1495

    তারেক রাজীব;নিউজ৩৯ঃ ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান-ই হতে চলেছেন ঢাকা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঢাকা জেলাসহ অন্তত ৩৫টিতে নিজ দলের আওয়ামী লীগ বিদ্রোহীরা মনোনয়নপত্র জমা দেন। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কমপক্ষে ৭০ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। সবচাইতে অবাক করেছিল ঢাকা জেলায় বিদ্রোহি প্রার্থীতা। ঢাকা জেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান এবং তার বিপরীতে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন মাসুদ খান মজলিস।
    অবশেষে ঢাকা জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ খান মজলিস। এদিকে সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খানের অনুরোধে নির্বাচন থেকে সরে যেতে রাজি হন মাসুদ খান মজলিস। নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়ানো প্রসঙ্গে মাসুদ খান মজলিস বলেন, এ অঞ্চলে আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খানের অনুরোধে দলীয় নীতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের মাধ্যমে আমি নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
    এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল মান্নান খান বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ একটি রাজনৈতিক দল। এখানে কোন বিভক্তি থাকতে পারে না। সে লক্ষ্যে আমি মাসুদ খান মজলিস কে অনুরোধ করলে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন।
    এ নির্বাচনে অন্য কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় ঢাকা জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় একক প্রার্থী হিসেবে দল থেকে মনোনয়ন পাওয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মাহবুবুর রহমানই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে চলেছেন।
    এ ব্যাপারে মাহবুবুর রহমান নিউজ৩৯কে বলেন, “প্রথমেই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। যিনি আমাকে দল থেকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি অঙ্গীকার করছি, ২৮ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে নিজের সততা ও আন্তরিকতা দিয়ে এই পরিষদকে আমি দূর্নীতিমুক্ত করব। একই সাথে এ কথাও দিচ্ছি, আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতারা কখনোই আমার দরজা থেকে ফিরে যাবে না। জীবনে যতদিন বেঁচে থাকব দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ণ করে যাব।”

    অন্য খবর  খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের আসন তিন ভাগ হচ্ছে

    m-3
    এসময় তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকট আব্দুল মান্নান খান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ সহ ঢাকা জেলা ও পাঁচ উপজেলার নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান এবং তাদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

    আপনার মতামত দিন