দোহার উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মি. জাকারিয়া এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রমে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান চলেছে দ্রুত গতিতে। ২০তম দিন পর্যন্ত ২ লক্ষ ৪৩৪ হাজার মিটার জাল, ১২৪১ কেজি মাছ, কয়েকটি ট্রলার জব্দ এবং প্রায় ৪০ জন জেলের জেল/ জরিমানা হয়েছে। ১ম হইতে ২০তম দিনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা সহ কিছু চিত্র তুলে ধরা হলো।
ইলিশ রক্ষা অভিযান: ১ম দিন
অভিযানে সক্রিয় ভাবে অংশ নেন উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান নারিশা এবং মুকসুদপুর।বরাবরের মত উপস্থিত ছিলেন ওসি, ইউএনও মহোদয় এবং সাংবাদিকবৃন্দ। অভিযানে ২৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল এবং ১ জন মৎস্যজীবী আটক করা হয়। মোবাইল কোর্ট জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে ফেলে এবং মৎস্যজীবীর নিকট হতে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
২য় দিন অভিযানে কোন জেলেকে মাছ ধরতে দেখা যায় নি।
৩য় দিন ৪জন জেলে আটক, ৩৫ কেজি ইলিশ মাছ, ২০হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৩ টি নৌকা জব্দ করা হয়।
৪র্থ দিন ৪টি অযান্ত্রিক নৌকা এবং ১ টি যান্ত্রিক নৌকা , ৫হাজার মিটার জাল, ১৯ কেজি ইলিশ জব্দ করা এবং ১জনকে আটক করা হয়।
৫ম দিন ১০ জন জেলে আটক, ১০হাজার মিটার কারেন্ট জাল এবং ৮০ কেজি মাছ জব্দ।
৬ষ্ঠ দিন হতে ১১তম দিন ১৬৫ কেজি ইলিশ মাছ, ৪৮ হাজার ২০০ মিটার কারেন্ট জাল ও ৪ জনকে জেল এবং ৩ জনকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
১২তম দিন ১৩৮ কেজি ইলিশ মাছ ও ৩৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ। মাছগুলো ১০ টি এতিমখানায় এবং ৫ জন দুস্থ মানুষের মাঝে বিতরণ করা
১৩তম দিন ৪জন জেলে আটক, ৮২ হাজার মিটার কারেন্ট জাল এবং ২৫ কেজি মাছ জব্দ। এবং মেঘলা বাজারে জাল বিক্রির সময় প্রায় ২ লক্ষ মিটার জাল জব্দ।
১৪তম দিন : ১৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল এবং একটি নৌকা জব্দ।
১৫তম দিন ৭ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ১১০ কেজি মাছ জব্দ।
১৬তম দিন ৭ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৫৫ কেজি ইলিশ জব্দ।
১৭তম দিন ৩৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল এবং ৪০কেজি ইলিশ মাছ জব্দ । মাছ এতিমখানায় দিয়ে দেয়া হয়।
১৮তম দিন প্রায় ৩০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, ও ১২০ কেজি ইলিশ জব্দ। এতিমখানায় ও মাহমুদপুর, মধুরচর আশ্রয়ণে মাছ গুলো ভাগ করে দেয়া হয়।
১৯তম দিন ১০৬কেজি ইলিশ ও ১৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ। মাছগুলো মধুরচর আশ্রয়ণে ১০০ পরিবারের মধ্যে এবং এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
২০তম দিন সর্বমোট ১৫ হাজার মিটার জাল এবং ১০০ কেজি মাছ জব্দ । জাল পুড়িয়ে মাছ মাহমুদপুর আশ্রয়নে এবং এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।