উচ্চশিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে আলোকিত সমাজ গড়তে নবাবগঞ্জের শিক্ষার্থীরা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। বুধবার দুপুরে নবাবগঞ্জের দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজ সরকারি হওয়ায় আনন্দ মিছিলের প্রাক্কালে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন সারা দেশে শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে দিয়েছেন, ঠিক তেমনি এই কলেজের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে সারা বিশ্বে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে হবে।
সালমা ইসলাম বলেন, আজ আমার সবচেয়ে আনন্দ লাগছে। এমপি নির্বাচিত হয়ে যেমন আনন্দ পেয়েছিলাম, দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজ সরকারি হওয়ায় সেই সময়ের মতো আনন্দবোধ করছি। বিশেষ করে এ অঞ্চলের সব শিক্ষার্থী ও অভিভাবককে একসঙ্গে পেয়ে ভালো লাগছে। সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী বলেন, নবাবগঞ্জের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই কলেজ আজ জাতীয়করণ হয়েছে। সেজন্য নবাবগঞ্জবাসী ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। নিরলস প্রচেষ্টায় যে কোনো কঠিন কাজ করা সম্ভব, তার প্রমাণ দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজ সরকারিকরণ। নানা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছায় আজ ঐতিহ্যবাহী ডিএন কলেজ সরকারি হল। ফলে এ এলাকার কৃষক শ্রমিকের সন্তানরাও অল্প খরচে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে।
এদিকে কলেজ সরকারিকরণ হওয়ায় শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক, সাবেক শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ আনন্দ-উল্লাসে নেচে-গেয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপিকে দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজ সরকারি হওয়ায় অভিনন্দন জানান। আনন্দঘন শোভাযাত্রাটি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বাগমারা পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় বাদ্যযন্ত্র ও ঢাকের তালে তালে নেচে-গেয়ে এবং রং ছিটিয়ে উল্লাস প্রকাশ করে নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ, নবাবগঞ্জ থানার ওসি মোস্তফা কামাল, সাবেক অধ্যক্ষ মানবেন্দ্র দত্ত, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আনোয়ার হোসেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাসির উদ্দিন আহম্মেদ ঝিলু, সাধারণ সম্পাদক মো. জালাল উদ্দিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহসিন রহমান আকবর, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম জালাল শিমু প্রমুখ।