দোহার-নবাবগঞ্জে ২’শ মন্ডপে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি

927
ঢাকায় ৬৪২টি পূজা মণ্ডপ, প্রতিমা তৈরিতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা শুরু হতে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শুভ মহালয়া। এদিন মা দূর্গা অশুর দমনের শুভ শক্তি নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করবেন। তাকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্ততি চলছে ঢাকার দোহার-নবাবগঞ্জের মৃৎশিল্পীদের। ইতোমধ্যে তারা মাটির কাজ শেষ করে রং-তুলির খেলায় মেতে উঠেছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে এবছর মা দূর্গা ঘোটকে করে শান্তির বার্তা নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করবেন।
উপজেলা প্রশাসন ও পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতারা জানান, আগামী ৬ অক্টোবর পঞ্চমী পূজার মধ্যে দিয়ে শারদীয় দূর্গাপূজা উদ্যাপন শুরু হতে যাচ্ছে। ১১ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে উৎসব সম্পন্ন হবে। এ বছর দোহার উপজেলায় ৩৪টি ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় ১৬৬টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছরের মতো এ বছরেও নবাবগঞ্জ উপজেলায় বেশি পূজা মন্ডপ রয়েছে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার সরকার জানান, আনন্দ মুখর পরিবেশে মা দুর্গাকে বরণ করার সব প্রস্তুতি হাতে নেওয়া হয়েছে। কোন ধরণের ঝুঁকি এড়াতে প্রশাসনের সহায়তা নেওয়া হবে।
এলাকা ঘুরে জানা গেছে, পূজা উপলক্ষে সব বয়সের মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। ঘরে ঘরে আনন্দ জোয়ার বইতে শুরু করেছে। শান্তির দেবী মা দূর্গাকে বরণ করে নিতে কেউ কেউ মার্কেটে যাচ্ছে পূজার নতুন কাপড় কিনতে। বাজারে এক প্রকারের ধুম পড়েছে। পিঠা, খই, মুয়া, মুরি, নারু তৈরির জন্য নারিকেলসহ নানা উপকরণ কিনতে শুরু করেছে। কেউ বা আবার অতিথি আপ্যায়নে ঘরে ঘরে চলছে সাজসজ্জা পরিপার্টির কাজ।
কাশফুল ফোটা শরতের শেষদিকে উৎসবকে পরিপূর্ণভাবে সাজাতে এ দু’উপজেলার সব মন্দিরে মন্দিরে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। চলছে প্রতিমায় রং-তুলির আচঁড়। তাই প্রতিমা তৈরি ও রং-তুলিতে ব্যস্তসময় পার করছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ও স্থানীয় প্রতিমা শিল্পীরা।
দোহার উপজেলার মেঘুলা গ্রামের প্রতিমা শিল্পী অনিল পাল জানান, এবার তিনি দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলায় ৮টি প্রতিমা শিল্পের কাজ করছেন। কাজ সম্পন্ন করতে দিন-রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাই সহযোগীদের নিয়ে রং-তুলির কর্মে খুব ব্যস্ত। তিনি আরো বলেন, এ পেশায় সারা বছর কাজ হয় না। দূর্গাপূজার সময়েই প্রতিমার কাজ বেশি হয়। এসময়ের আয়ের টাকায় সারা বছর সংসার চালাতে হয়।
নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল জানান, মন্ডপের নিরাপত্তায় মন্দির কমিটির সদস্য ছাড়াও পুলিশ প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনায় আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ নজর রাখা হবে। দোহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের সব ধরণের ব্যবস্থা রয়েছে।

আপনার মতামত দিন