বিএনপির এক সময়ের প্রভাবশালী নেতা নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন জোট বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (বিএনএ) কি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটে যোগ দিচ্ছে? রবিবার সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সরকারের দুই মন্ত্রী যোগ দেয়ার পর এমন আলোচনাই চলছে জোরালোভাবে। আজকের আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন যোগদিয়ে তারা যে বক্তব্য দিয়েছেন সেখানেও বিএনএকে ১৪ দলীয় জোটে যোগ দেয়ার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে বিএনএ এই আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। এই জোটের চেয়ারম্যান হচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য নাজমুল হুদা। আলোচনা সভায় তিনি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। গত ১৫ জানুয়ারি নাজমুল হুদার বিএনএর আলোচনা সভায় প্রথম যোগ দিয়েছিলেন মোহাম্মদ নাসিম। এরপরই বিএনএর ১৪ দলে যোগ দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলে বিএনএকে নেওয়ার সম্ভাবনার কথা বলেছেন মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বিএনএর নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনারা বেরিয়ে এসে ভালো করেছেন। বিভ্রান্ত পথ থেকে সঠিক পথে বেরিয়ে এসেছেন। ছোট হোক, বড় হোক, সেটা বড় কথা নয়। একজন মানুষ যদি মনে করে সে বিভ্রান্ত পথে গেছে, তাঁর সঠিক পথে আসা উচিত। আজকে সঠিক পথে, সঠিক জায়গায় এসেছেন। আপনাদের সবাইকে বলব, অবশ্যই আমরা আপনাদের নিয়ে কাজ করব। এক সাথে আছি, এক সাথে থাকব। আপনাদের নিয়ে ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠক করব, ইনশা আল্লাহ।’
আলোচনা সভায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলির অনেক যোগসূত্র লাগে। একদিনে, একটি ঘটনায়, কয়েকটি আহ্বানের মধ্যে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। এর অনেক ইতিহাস ও পর্যায়ক্রম রয়েছে। ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ হয়। তবে স্বাধীনতাকে আনুষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয় ৭ মার্চের ভাষণে।’
আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে মূল বক্তব্য পড়েন নাজমুল হুদা। তিনি সেখানে বলেন, ‘সহস্রাব্দব্যাপী এ জনপদের গণমানুষের শৃঙ্খলমুক্তির এই অমিয় বাণী এমন গর্বদীপ্তভাবে আর কখনো শোনা যায়নি, যা ছিল একটি জাতি রাষ্ট্রের জন্মের ঘোষণা।’