সম্পাদকীয়: বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর দোহার -নবাবগঞ্জ- কেরাণিগঞ্জে আবারও ডাকাতি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক সপ্তাহে দোহারের নারিশা, লটাখোলা; নবাবগঞ্জের আগলা, গালিমপুর ও সিরাজদিখান সীমান্ত; কেরাণীগঞ্জের মরিচা, বন্দর ডাকপাড়াতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
আতঙ্কে মানুষজন রাতে ঘুমুতে পারছে না। তাদের আশঙ্কা শীতের রাত অনেক লম্বা হওয়ার কারণে আগামী দিন গুলোতে এইসব ঘটনা আরও বৃদ্ধি পাবে। এলাকাতে পাহারার ব্যাবস্থা করা হলেও তা ডাকাতি প্রতিরোধে খুব কার্যকর নয়। এছাড়া ২/১ জন ডাকাত বিভিন্ন সময়ে ধরা পড়লেও আইনের ফাঁকগলে বেরিয়ে যাচ্ছে, এবং অভিযোগ রয়েছে প্রভাবশালীদের স্বার্থ থাকায় থানা বা প্রসাশন তেমন ভুমিকা পালন করতে পারছে না।
এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ার পাশাপাশি এলাকার আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে। এর উপর মরার উপর খড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে দিনের বেলায় চুরি। সাধারণত এই সব চোররা বাড়ীর আশেপাশে ওঁত পেতে থাকে; ঘর খোলা পেলে মোবাইল ও অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
গত এক ৩ দিনে লটাখোলা, রুহিতপুর ও কেরানীগঞ্জের কদমতলাতে এরকম চুরির ঘটনায় প্রায় ২০টি মোবাইল খোয়া গেছে। এসবের সাথে এলাকার মাদকাসক্ত ও বখাটেরা জড়িত বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত বাবার চিঠির জবাবে কলকাতায় তার বসবাসের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছিলেন- “রাতে মশা, দিনে মাছি; এই নিয়ে কোলকাতা আছি।” বর্তমানে ঢাকার দক্ষিণে দোহার, নবাবগঞ্জ ও কেরাণীগঞ্জবাসীর অভিজ্ঞতা “রাতে ডাকাতি, দিনে চুরি; এই নিয়ে আমরা বাস করি।”
বিষয়টির প্রতি যত দ্রুত সম্ভব নজর দিয়ে প্রসাশন চিরুনি অভিযান পরিচালনা করবে বলে প্রবাসী অধ্যুসিত এ জনপদবাসীর আকাঙ্ক্ষা।