দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিত্সক সংকট চলছে। রোগীরা জানান, গত পাঁচদিনে অল্প সময়ের জন্যই চিকিত্সকদের পাওয়া যায়। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যাবিশিষ্ট। কিন্তু প্রায় দেড় যুগ ধরে ৩০ শয্যার জনবল দিয়ে চলছে হাসপাতালটি। ১৮ জন চিকিত্সকের মধ্যে পাঁচজন রয়েছেন ওএসডিতে। মাত্র ১৩ জন চিকিত্সক ও পাঁচজন নার্স দিয়ে চলছে হাসপাতাল। পরিচ্ছন্নতাকর্মী মাত্র দুজন।
হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিশুদ্ধ পানির অভাবে বাইরে থেকে মিনারেল ওয়াটার কিনে আনতে হয়। হাসপাতালে দু-একটা ওষুধ পাওয়া গেলেও সব ধরনের ওষুধ বাইরে থেকেই কিনতে হয়। হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাম, এক্স-রে ও ইসিজি মেশিন থাকলেও তা বিকল হয়ে আছে। রোগীদের চিকিত্সকরা বাইরের ক্লিনিকগুলো থেকে চিকিত্সা নিতে বলেন। এছাড়া হাসপাতালে দুর্গন্ধময় ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকায় রোগীদের দুর্ভোগ আরো বেড়ে যায়। এমন অবস্থায় একদিকে যেমন সাধারণ মানুষ চিকিত্সাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে হাসপাতালের চিকিত্সা কার্যক্রমও ভেঙে পড়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এমআই রোমেল জানান, ছোটখাটো কাটাছেঁড়া, জ্বর-সর্দি রোগের চিকিত্সা দেয়া হয়। সিজারিয়ান ও বড় ধরনের অপারেশনের ক্ষেত্রে অ্যানেসথেসিয়ার চিকিত্সক না থাকায় এ বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিন জানান, হাসপাতালে তীব্র চিকিত্সক সংকট থাকায় রোগীদের চিকিত্সা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।