নবাবগঞ্জ উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়নে ৪২টি কৃষি ব্লকে আমন মৌসুমে সুগন্ধি কালিজিরা, ব্রি-ধান ৪৯ ও বি-আর ১১ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৪৫ হেক্টর জমি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪০ হেক্টর বেশি ২৮৫ হেক্টর ধানের আবাদ হয়।
শোল্লা ইউনিয়নের সিংহড়া গ্রামে চাষী আবদুস সালাম জানান, এবছর বি-আর ১১ ধান রোপন করে বিঘা প্রতি ১৭ মণ করে ধান পেয়েছেন।
কান্দামাত্রা গ্রামের চাষী স্বপন কুমার মজুমদার জানান, ‘এবার সুগন্ধি কালিজিরা ধান রোপন করি। বেশ ভাল ফলন হয়েছে। আশাকরি প্রতি বিঘায় ৮ মণ করে উৎপাদন হবে।’
বাহ্রা ইউনিয়নের চাষী ইমান আলী বলেন, এবছর তার প্রতি বিঘা জমিতে ১৪ মন করে ব্রি-ধান ৪৯ উৎপাদন হয়েছে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কাজী মো. ইসমাইল বলেন, বর্তমান সরকার কৃষক ও কৃষির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এতে কৃষি উৎপাদন এগিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল আমীন বলেন, উপজেলার ৪২টি কৃষি ব্লকে কর্মরত ৩৭ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ এবং কৃষকের পরিশ্রমের ফলে এ সাফল্য এসেছে।