বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন নেই দোহারে আরো ১০০ বাড়ি পদ্মায় বিলীন

349

নিউজ৩৯♦ দোহার উপজেলায় পদ্মার তীব্র ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে সুতারপাড়া ইউনিয়নের মেঘুলা বাজার এলাকা। পদ্মার তীব্র ভাঙনে হুমকির মুখে রয়েছে মেঘুলা বাজারসহ সুতারপাড়া ইউনিয়নের ১০ হাজার মানুষ। এরই মধ্যে পদ্মার কড়াল গ্রাসে বিলীন হয়ে গেছে প্রায় ১০০ বাড়ি।

পিছনে ফিরে গেলে ২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে দোহারের বড় মাঠে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন দোহারকে তিনি পদ্মার গ্রাসের হাত থেকে রক্ষা করবেন, এবং ভাঙ্গন রোধে দোহারে বেড়িবাঁধ দেবেন। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সেই প্রতিশ্রুতেও আজ ধুলো পড়েছে। পদ্মার কড়াল গ্রাসে হারিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম,  নিঃস্ব হয়েছে লাখো মানুষ। কিন্তু এই অঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন পদ্মা বাঁধের কাজ বাস্তবায়ন হয় নি। 

স্থানীয় এক বাসিন্দা আক্ষেপ করে বলেন, শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নন, নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান, সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী মান্নান খান, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী তালুকদার মাহবুবুর রহমান থেকে শুরু করে সবাই পদ্মা বাঁধকে ইস্যু করে নির্বাচনী বৈতরনী পাড় হতে চেয়েছেন। কেউ কিছু করে নাই এখন আল্লাহর উপরই ভরসা। 

এরই মধ্যে পদ্মার হুমকির মুখে রয়েছে নারিশা বাজার, মেঘুলা বাজার, বাহ্রাঘাট, ধোয়াইর বাজার, বাহ্রা হাবিলউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়।  রয়েছে আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 

অন্য খবর  বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণায় জয়পাড়া কলেজ ছাত্রলীগের আনন্দ র‍্যালী

পদ্মা বাঁধের ব্যাপারে সালমা ইসলাম বলেন, ওয়াদা দিয়েছি আবার ভোটও নিয়েছি। কাজটা শুরু করতে পারছি না বলে এলাকার মানুষের কাছে যেতেও কষ্ট লাগে। তবে তিনি আবার দোষ চাপিয়েছেন ডি.ও. লেটারের উপরে। তিনি বলেন ডি.ও. লেটার সমস্যার সমাধান হলেই অতি দ্রুত কাজটি শুরু করা যাবে। ইতিমধ্যে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে মেঘুলা, নারিশা, নয়াবাড়িতে ভাঙ্গনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেড় শতাধিক পরিবার পদ্মার ভাঙ্গনে গৃহহারা হয়েছে। এছাড়া কাশিয়াখালি বেড়িবাঁধের উপর অবস্থিত বাহ্রাঘাট তীব্র ভাঙ্গনের উপর অবস্থিত রয়েছে। যেকোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে বাহ্রাঘাট। 

এরই মাঝে স্থানীয় ভাঙ্গন কবলিত লোকজন নিজেদের স্থাপনা সরাতে ছোটাছুটি শুরু করেছে। কেউ ব্যস্ত গাছপালা কাটতে। দুই একজন বাড়িঘড় ছেড়ে চলে যাচ্ছেন চিরদিনের মতো।

পদ্মায় বার বার ভাঙ্গনের শিকার কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবু নির্মল রঞ্জন গুহ “২০০৮ সালে পদ্মা ভাঙ্গন রোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলাম, সাত বছরেও প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হয় নি, তাই আমরা লজ্জিত। ” 

আপনার মতামত দিন