দোহার-নবাবগঞ্জে লোডশেডিং চরমে

283

নিউজ৩৯♦ হঠাৎ করে মাত্রা অতিরিক্ত গরম পড়ায় ঢাকার দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলায় লোডশেডিংয়ে চরম দূর্ভোগে পড়েছে এই অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকাবাসী । আর এতে করে ফ্রিজে থাকা ভোগ্যপণ্যের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানা গেছে। 

প্রচন্ড গরমে যেখানে মানুষ রীতিমত হিমশিম খাঁচ্ছে যেখানে ২৪ ঘন্টায় মধ্যে ১০ থেকে ১২ ঘন্টাই বিদ্যুৎ পাচ্ছে না এমনটাই অভিযোগ রয়েছে এখানকার ভোক্তভুগী গ্রাহকদের। ফলে চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে এই দুই উপজেলার শিক্ষার্থী,ব্যবসায়ীসহ প্রায় সকল শ্রেণী পেশার মানুষেরা। বিশেষ করে নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা, গালিমপুর, শিকারিপাড়া, যন্ত্রাইল, আগলা,নয়নশ্রী, কলাকোপা ইউনিয়ন গুলিতে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া গেছে। 

অপরদিকে দোহার উপজেলার জয়পাড়া, মেঘুলা, মাহামুদপুর, বিলাশপুর ইউনিয়ন গুলিতে লোডশেডিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। 

নবাবগঞ্জ পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র সাদি মো. অলিন বলেন, প্রচন্ড গরম আর ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে বিদ্যালয়ে ঠিকমত ক্লাস করতে পারছি না । শুধু তাই নয় বাড়িতে পড়াশুনার ও ব্যাঘাত ঘটছে। 

দোহার উপজেলার আইসক্রীম কারখানার মালিক মো. কামরুল হাসান বলেন , ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে ঠিকমত আইসক্রীম তৈরী করতে পারছিনা। এতে করে পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছি। সকালে বিদ্যুৎ যায় আসে দুপুর ১২ টায় ২ ঘন্টা থেকে আবার ২ টায় যায় আসে বিকাল ৫ টায়। সন্ধ্যা ৭ টায় যায় আসে রাত ১০ টায় । এ ভাবে ঘন ঘন লোডশেডিং হলে কি ভাবে কাজ করবো আর কি বা খাব? 

অন্য খবর  আর যেন ১৯ বছর না হয়ঃ সালমান এফ রহমান

ডক মালিক মো. রজ্জব আলীর একই অভিযোগ লোডশেডিংয়ের কারণে ঠিকমত ডক চালাতে পারছি না। এতে করে ক্রেতাদের গালিগালাচ শুনতে হয়। 

নবাবগঞ্জ উপজেলার রিপন ইলেকট্রিক দোকানের মালিক মো. রিপন জানান , ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে আমার সর্বোচ্চ দামের ২টি ফটোকপি মেশিন এক সপ্তাহের মধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছি। 

ক্লিনিকের মালিক ডা. আব্দুল সালাম বলেন , এত লোডশেডিংয় হলে কি করে ব্যবসা করবো ? বাগমারা গ্রামের শিমু রহমান বলেন , লোডশেডিংয়ের কারণে শিশু বাচ্চা নিয়ে এই গরমে খুব কষ্ট আছি। শুধু তাই নয় ফ্রিজে থাকা মাছ ,মাংসসহ ভোগ্যপণ্যর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। 

নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপা কোকিল প্যারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ্ আলম জানান, লোডশেডিংয়ের আর প্রচন্ড গরমে শিক্ষার্থীরা মাঝে মধ্যে অস্থির হয়ে পড়ে। এতে শিক্ষা প্রদানে বিঘ্ন ঘটছে। 

ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২’র জেনারেল ম্যানেজার রবিউল ইসলাম লোডশেডিংয়ের কথা স্বীকার করে বলেন, কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ ব্রিজ থেকে দোহার-নবাবগঞ্জে ৩৩ কেবি লাইন মেরামতের কাজ চলছে তাই ৫/৬ মেগাওয়াট লোডশেডিংয় হচ্ছে।

আপনার মতামত দিন