নিউজ৩৯♦ ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পদ্মা নদীর গোপালপুর-মৈনট আন্তঃজেলা পদ্মার ঘাটে টোল চার্ট টানানোর পরও ট্রলার ও স্পিডবোটে মাত্রাতিরিক্ত হারে ভাড়া আদায় করে চলেছে ইজারাদার। ঈদের দুদিন আগে থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। প্রশাসনের চোখের সামনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলেও তারা নির্বিকার।
যাত্রী প্রতি ট্রলারে ৬৫ টাকা ও স্পিডবোটে ১৩০ টাকা হারে ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে এবং রাত-দিন একই হারে ভাড়া আদায়ের নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু ঈদের দুদিন আগে থেকে ট্রলারে যাত্রীপ্রতি ৮০ টাকা ও স্পিডবোটে টাকা ভাড়া আদায় অব্যাহত রেখেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
চর ভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাসির উদ্দিন জানান, কমিশন অফিস থেকে পদ্মার ঘাটে টোল চার্ট টানানোর পর ঘাট ইজারাদার কমিশন অফিসে একটি আপিল করেছেন, কমিশন অফিস থেকে এখনো পুনরায় কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া হয় নি।
রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করতে গোপালপুর ঘাট দিয়ে পদ্মা নদী পারাপার হয়ে দোহার-গুলিস্তান রুটে মাত্র দুই ঘণ্টা সময় লাগে। তাই আশপাশের প্রায় চার উপজেলাবাসী গোপালপুর ও মৈনট ঘাট দিয়ে ঢাকা যাতায়াত করে থাকেন। জনাকীর্ণ এ নৌরুটে দীর্ঘদিন ধরে লাগামহীন ভাড়া আদায় করে চলছিল ঘাট ইজারাদার।