নিউজ৩৯♦ সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে দোহারের কুসুমহাটি ইউনিয়নের সুন্দরীপাড়া গ্রামে বেপারী বাড়ি ও মোল্লা বাড়ির মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হচ্ছে সুন্দরীপাড়া গ্রাম। সামান্য কথা কাটাকাটির ঘটনা আর সামান্য না থেকে এখন হয়ে গেছে এলাকায় দুই পরিবারের আধিপত্য বিস্তারের লড়াই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার দিন সুন্দরীপাড়া হাইস্কুলের গেটের (মেইন রাস্তা সংলগ্ন) সামনে স্বপন বেপারী ও জিল্লুর রহমান (বাদল বেপারীর ভাগিনা) আড্ডা দিতে ছিল। এসময় মিজান মোল্লা (জমির উদ্দিন মোল্লার ছেলে) মোটর সাইকেলে করে মোহাম্মদ আলী শরীফকে সাথে নিয়ে শিলাকোঠা বাংলা বাজারের দিকে যাচ্ছিল এবং স্বপন বেপারীকে উদ্দেশ্য করে মিজান মোল্লা উসকানিমূলকভাবে কটূক্তি করে। এক পর্যায় দু’জনের মাঝে কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি হয়।
পরবর্তীতে সেই দিনই বিকালে মিজান মোল্লা ও তার আত্মীয় স্বজন পরিকল্পিতভাবে ব্যাপারি বাড়ির উপর হামলা করতে যায়। এ সময় বেপারী বাড়ীর লোকজনসহ সুন্দরীপাড়ার সাধারন মানুষ এর প্রতিবাদ করতে গেলে মোল্লা বাড়ি বনাম সুন্দরীপাড়াবাসীর এই দুইপক্ষের মধ্যে বটতলায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় এলাকার মাঝে আতকং ছড়িয়ে পরে এবং বটতলার সকল দোকান বন্ধ হয়ে যায়। এক পর্যায় ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ছয় (৬) জন আহত হয়।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষ দোহার থানায় মামলা করতে গেলে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম মামলা না করার পরামর্শ দিয়ে দুই পক্ষেরই অভিযোগ থানায় লিপিবদ্ধ করে রেখে দেন। কিন্তু ওসির কথা অমান্য করে মোল্লা বাড়ীর লোকজন বেপারী বাড়ির লোকজনসহ এলাকার আরো কিছু লোকের নামে ঢাকা জজ কোর্টে গিয়ে মামলা করেন। পরবর্তীতে গত মঙ্গলবার (৪/৮/১৫) বেপারী বাড়ির লোকজন উক্ত মামলা থেকে কয়েকজন জামিন নেন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েক জনের সাথে কথা বললে তারা এই প্রতিবেদককে বলেন, ঘটনাটি পরিকল্পিত ভাবেই মোল্লারা করছে। আসলে মোল্লারা কারো ভালো দেখতে পারে না; কারো ভালো চায় না। তারা চায় সবাই তাদের হুকুম মতো চলুক। কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, মোল্লাবাড়ির লোকজন ওরা মেধাবী ছাত্র হান্নানকে দিনে দুপুরে সবার সামনে হত্যা করছে, বাহ্রা গ্রামের মোহন মেম্বারের ভাই রমিজকে রামদা দিয়ে কুঁপিয়ে যখম করছে , সুন্দরীপাড়ার শিকদার বাড়ির মরহুম কালা শিকদারকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতারি কুঁপিয়ে মারছে। এলাকার সবাই মোল্লাদের অপকর্মের কথা জানে কিন্তু কেউ ওদের ভয়ে এতদিন মুখ খোলেনি, কোন প্রতিবাদও করতে পারেনি।
টেলিফোনে বাদল বেপারীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- পরবর্তীতে মোল্লারা কোন অপকমর্ করতে আসলে এলাকার লোকজন কে সাথে নিয়ে এভাবেই বেপারী বাড়ীর লোকজন সাধারন মানুষের পাশে থাকবে এবং তাদের সকল অপকর্মের উচিত জবাব দেওয়া হবে।