নিউজ৩৯♦ ঢাকার নবাবগঞ্জের গালিমপুর থেকে রবিবার রাতে তাইজুল (২০) নামে এক যুবককে অপহরণের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে নেত্রকোনা’র কলমাকান্দার কেরামত আলীর পুত্র। তাইজুল তাদের পাশ্ববর্তী গ্রামের শামীম নামে আরেক যুবককে অপহরণ করেছে।
পুলিশ ও অপহরণের শিকার শামীমের মামা আমিরুল জানান, তাইজুল গালিমপুর দিনমজুরের কাজ করে। গত মঙ্গলবার তাইজুল তার সহযোগীদের নিয়ে নেত্রকোনা কলমাকান্দা থেকে শামীমকে অপহরন করেন।
এরপর তারা শামীমকে গাজীপুর একটি বাড়ীতে আটকে রাখে। তাইজুল চলে আসে গালিমপুরে। তাইজুল ফোনে বিকাশের মাধ্যম্যে শামীমের মুক্তিপণ হিসেবে ৬০হাজার টাকা দাবি করেন তার মামার কাছে এবং টাকা পাঠানেরা জন্য একটি বিকাশ নম্বর দেওয়া হয়। অপহরণকারীদের দেওয়া নম্বরে প্রথমে পাচ হাজার টাকা পাঠায় শামীমের পরিবার। এরপর প্রযুক্তির মাধ্যমে জানা যায় বিকশ এজেন্ট নম্বরটি ঢাকার নবাবগঞ্জের। শামীমের মামা রবিবার সকালে নবাবগঞ্জ থানায় এসে ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। পুলিশ জানতে পারে বিকাশের এজেন্ট দোকানটি গালিমপুর বাজারের। পুলিশ ফাদ পাতে অপহরণকারীদের ধরতে। উক্ত বিকাশ এজেন্ট দোকানের আশেপাশে সিভিল ড্রেসে নবাবগঞ্জ থানার এস আই আবুল বাসার এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ অবস্থান নেয় । শামীমের মামা তাইজুলকে জানায় মুক্তিপণের অবশিষ্ট টাকা বিকাশ নম্বরে পাঠানো হয়েছে। তাইজুল বিকাশে দোকানে টাকা উঠাতে গেলে পুলিশ তাকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক তাউজুল স্বীকার করেছে তারা শামীমকে অপহরণ করেছে এবং গাজীপুরের একটি বাড়ীতে বন্ধি করে রেখেছে।
এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: সায়েদুর রহমান বলেন, অপহরণকারী তাইজুলকে আটক করার পর সে ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছে। শামীমকে তারা গাজীপুর একটি বাড়ীতে আটকিয়ে রেখেছে বলে স্বীকার করেছে। পুলিশ অপহরণের শিকার শামীমকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে।