নিউজ৩৯ :: দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান ও ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার ছোট ভাই কামরুল হুদার অকাল মৃত্যুতে শুন্য হয়েছে দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ। ফলে শুন্য এই পদে অচিরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপ নির্বাচন। নির্বাচনী বিধি মোতাবেক ৯০ দিনের মধ্যেই এই নির্বাচন হওয়ার কথা। এই উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবারো সরগরম হচ্ছে দোহার উপজেলার রাজনীতি। বিভিন্ন ভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন দোহার উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা। কিন্তু দলীয় ইমেজের থেকে এখনো বের হয়ে আসতে পারেনি উপজেলা নির্বাচন। তাই দলের মনোনয়ন বিরাট প্রভাব ফেলে উপজেলা নির্বাচনে। কিন্তু গত উপ নির্বাচনে বিএনপির ভুল প্রার্থী বাছাই এর কারনে দোহার উপজেলা ভরাডুবি হয়েছিল দোহার উপজেলা বিএনপির। এবারো কি সেরকম কিছু হবে। নাকি আগের বারের মতো এবারো দলীয় বিভক্তিকে কেন্দ্র করে জনসমর্থনহীন প্রার্থী দিবে দোহার উপজেলা বিএনপি। গত উপজেলা নির্বাচনে অনেক জল্পনা-কল্পনার পর ঢাকা জেলা বিএনপি দোহার উপজেলার জন্য জাসাসের কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন মোল্লাকে দোহার উপজেলা নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন দেয়।
মনোনয়ন নিয়ে অনেক সমালোচনা থাকলেও শেষমেশ মনোনয়ন পান সালাউদ্দিন মোল্লা। যদিও প্রার্থী হিসাবে সালাউদ্দিন মোল্লার থেকে যোগ্য ছিলেন কামরুল হুদা। কিন্তু নাজমুল হুদার ভাই হওয়ার কারণে ঢাকা জেলা বিএনপির সমর্থন পাননি এই সিনিয়র সহ-সভাপতি। আর এতে সালাউদ্দিন মোল্লা পান দোহার উপজেলা বিএনপির সমর্থন। কিন্তু কোন কেন্দ্রীয় নেতা আসেননি কোন সমাবেশে। আর এই সমর্থন দোহার উপজেলা বিএনপির বেশির ভাগ নেতাকর্মীই গ্রহন করতে পারেন নি, কেননা সালাহউদ্দীন মোল্লা অতি পরিচিত হলেও দলীয় কার্যক্রমে তার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। আর নির্বাচনে কামরুল হুদা প্রার্থী হলেও সেখানে আসলে নাজমুল হুদার প্রভাব ছিল সম্পূর্ণরুপে। ফলে কেন্দ্রের সমর্থন পেলেও উপজেলা নির্বাচনে বিন্দু মাত্র প্রতিদ্বন্দ্বীতা সৃষ্টি করতে পারেন নি এই সাংস্কৃতিক নেতা।
বিএনপি অধ্যুষিত এই উপজেলায় খুব লজ্জাজনকভাবে চতুর্থ স্থান লাভ করেন এই বিএনপি নেতা। নেতা কর্মীদের সাথে দূরত্ব, সংবাদ মাধ্যমের সাথে এক কেন্দ্রীকতা, বানাঘাটা গ্রাম কেন্দ্রীক রাজনীতি এবং মাত্রাতিরিক্ত গর্ব ও আত্মবিশ্বাস ; তার উপজেলা নির্বাচনে এমন লজ্জাজনক হারের পিছনের প্রধান কারন হিসাবে উল্লেখ করেন দোহার উপজেলা বিএনপি নেতাকর্মীরা। নির্বাচনে তিনি কোন ফ্যাক্টরই হয়ে দাড়াতে পারেন নি অন্য প্রার্থীদের কাছে। ফলে এবারো প্রশ্ন ঊঠছে আবার কি জন সমর্থনহীন কাছের লোকের দিকে ঝুকবে বিএনপি নাকি গত বারের ভূলের সংশোধন করে যোগ্য, জন সম্পৃক্ত প্রার্থীকে সমর্থন দিবে বিএনপি। আর সেক্ষেত্রে বলা যায়, বিরোধী শিবির আওয়ামীলীগ অনেক সুবিধা জনক অবস্থানে। কেননা এখনো বিএনপি’র কন প্রার্থী সম্পর্কে সম্ভাব্যতার কথা কেউই বলতে পারছেন না। তবে বাতাসে গুজব রয়েছে মরহুম কামরুল হুদার স্ত্রী’ ফরিদা হুদাকে মনোনয়নের ব্যাপারে দলের একটি অংশ সক্রিয় রয়েছে। যদিও এক্ষেত্রে একই পরিবারের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার জেষ্ঠ্য কণ্যা প্রার্থী হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। এছাড়া বিএনপি’র বর্ষিয়ান নেতা সিরাজুল ইসলাম ভুলু বা বর্তমান জনপ্রিয় উপজেলা ভাইস- চেয়ারম্যান মাসুদ পারভেজ মাসুদ নিজ পদ ছেড়ে দিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে পারেন। আবার দলের সুসময়ের বন্ধু আর দুর্দিনে আমেরিকা প্রবাসী নুরুল ইসলাম ব্যাপারী আমেরিকা থেকে এসেছেন, তিনিও স্ব-তন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন বিএনপি’র প্রভাব বলয়ের থেকে।