গ্রামে হিন্দু নেই, কাল্পনিক মন্দির দেখিয়ে জেলা পরিষদের টাকা আত্মসাৎ

462

নিউজ৩৯♦ শংকরখালী গ্রাম। ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জের গালিমপুর ইউনিয়নের একটি অজপাড়া এলাকা। এ গ্রামে মুসলিম ব্যতীত অন্য কোনো সম্প্রদায়ের লোকের বসবাস নেই। হিন্দু বা অন্য কোনো ধর্মের লোকের বসবাস কখনোই ছিল না। কিন্তু অবাক হলেও সত্য যে, ঢাকা জেলা পরিষদ এ গ্রামে ‘শ্রীশ্রী পাগলনাথ মন্দির এবং ওই দেবীর মন্দির’ নামে দুটি মন্দিরের উন্নয়ন কাজ বাবদ ৪ লাখ টাকা খরচ করেছে।

জানা গেছে, একই ইউনিয়নে পাইকশা গ্রামেও কোনো হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বসবাস নেই। অথচ এ গ্রামের মন্দির সংস্কারের নামেও প্রকল্প নিয়ে টাকা তুলে নেয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে গালিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তপন মোল্লা বলেন, ‘আমার জীবনে এ রকম জালিয়াতি দেখেনি। হিন্দু সম্প্রদারের বসবাস থাকলেও কিছুটা মেনে নেয়া যেত। কিন্তু যেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ও মন্দিরের অস্তিত্ব নেই, সেখানে এভাবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে টাকা তুলে খেয়ে ফেলার ঘটনা নজিরবিহীন।’

সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বর মো. তাজুল ইসলাম এ ব্যাপারে বলেন, ‘বিগত একশ’ বছরেও এ গ্রামে কোনো হিন্দু লোকের বসবাসের কথা তার জানা নেই। কিন্তু জেলা পরিষদ কোথায় মন্দির পেল তা আমাদের বোধগম্য নয়। আর যেখানে কোনো মন্দিরই নেই সেখানে তারা কোন মন্দির সংস্কারে অর্থ ব্যয় করেছেন তা এখন জানার বিষয়।’

অন্য খবর  দোহার-নবাবগঞ্জ সড়ক যেন সড়কের নামে মরন ফাঁদ

এ জনপ্রতিনিধি আরও বলেন, ‘আসলে কিছু দুর্নীতিপরায়ণ সরকারি কর্মকর্তাদের লুটপাটের এটি একটি জঘন্য কৌশল। এভাবে ভুয়া মন্দিরের সংস্কার কাজ দেখিয়ে তারা টাকা উঠিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। তিনি এসব দুর্নীতিবাজদের দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তি দাবি করেন।’

আপনার মতামত দিন