নিউজ৩৯♦ ঢাকার অদূরে দোহার উপজেলার বাঁশতলা-কার্তিকপুর প্রধান সড়কের চরকুশাই অংশের দুই কিলোমিটার বেহাল। সড়কের এ অংশের বেশির ভাগ স্থানে পিচ ও ইটের খোয়া উঠে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে এসব গর্তে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ভাঙাচোরা ও খানাখন্দে ভরা সড়কে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই অচল হয়ে পড়ে যানবাহন। এছাড়া খানাখন্দের কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুর কাদের সড়কটি সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলেও আজো তা বাস্তবায়ন হয়নি।
সূত্র জানায়, দোহারের বাঁশতলা-কার্তিকপুর সড়কটি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আওতাধীন। সড়কটি নির্মাণের পর দীর্ঘদিনেও সংস্কার করা হয়নি। সংস্কার না করায় এটি বর্তমানে প্রায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকার দোহার উপজেলার প্রাণকেন্দ্র জয়পাড়া থেকে করিমগঞ্জ, চরকুশাই, কার্তিকপুর, সুন্দরীপাড়া, শিলাকোঠা, আন্তাসহ বাহ্রা ঘাট থেকে মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ এবং মৈনট ঘাট দিয়ে ফরিদপুর যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির অবস্থা খুবই নাজুক। জনস্বার্থে সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা উচিত।
সরজমিন দেখা গেছে, বাঁশতলা-কার্তিকপুর সড়কের চরকুশাই অংশের বিভিন্ন স্থানের পিচ, ইট ও সুরকি উঠে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। এসব গর্তে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও সড়ক দেবে গেছে। চালকরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন। এলাকাবাসীর দাবি, সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা হোক। স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, সওজের আওতাধীন সড়কটি বিভিন্ন সময় নামমাত্র সংস্কার করা হয়েছে। জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করায় কিছুদিনের মধ্যে তা আগের অবস্থায় ফিরে যায়। শোনা যাচ্ছে, আবারো সংস্কার করা হবে। বর্ষা এসে গেছে। কিন্তু আজো কাজ শুরু হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আহসান খোকন বলেন, বাঁশতলা-কার্তিকপুর সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে।
দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল করিম ভুইয়া বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির এমন বেহাল দেখলে খুবই খারাপ লাগে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান।