নিউজ৩৯♦ বর্ষা শুরু হতে না হতেই ঢাকার দোহার উপজেলার পদ্মা নদীর পাড় ভাঙতে শুরু করেছে। অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে নদীতীরের বসতিসহ জনপদের। এ বিষয়কে মাথায় রেখে দোহারের পদ্মাপাড়ের বাসিন্দারা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণ করলেন।
উপজেলার নারিশা, বিলাশপুর, নয়াবাড়ি ইউনিয়ন নদীভাঙনপ্রবণ এলাকা। এসব ইউনিয়নে রানীপুর, মেঘুলা, পশ্চিমচর, নারিশা, মধুরচর, হাজারবিঘা, মাঝিরচর, কার্তিকপুর, বাহ্রাঘাট, ময়নট, শিলাকোঠা, সুন্দরীপাড়া, বাংলাবাজার গ্রামসহ দীর্ঘদিন ধরে পদ্মা নদীতে অব্যাহত ভাঙনের ফলে হাজার পরিবার তাদের ভিটেমাটি হারিয়েছে। এসব এলাকার শ্রমজীবী মানুষ এবার পদ্মার ভাঙন থেকে ভিটেমাটি রক্ষার জন্য নিজেরাই বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।
মেঘুলা মাদ্রাসা, শিলাকোঠা মাদ্রাসাসহ আরও অনেক মাদ্রাসায় ভাঙন রোধে দোয়া ও মোনাজাত হয়। শেষে সবাইকে একত্র হয়ে পদ্মায় বাঁধ নির্মাণের কথা বলা হয়। এ সময় নিজ নিজ এলাকায় নারিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ডা. আবুল কালাম, নয়াবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ হান্নানসহ এলাকার সর্বস্তরের জনগণ এ প্রস্তাবের একাত্মতা প্রকাশ করে।
এগিয়ে আসে উপজেলার সব শ্রেণীর পেশার মানুষ। বাঁধের জন্য কেউ বাঁশ, কেউ টাকা, কেউ আবার স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে সহযোগিতা করে।
এ সময় উপজেলার পদ্মা নদীর বৃহৎ ভাঙনরত এলাকা বাহ্রাঘাট থেকে চরপুরলিয়া খাল পর্যন্ত বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি বাস্তবায়িত হলে কাজের পরিধি আরও বাড়ানো হবে। বাঁধটি নির্মিত হলে দোহারের শিলাকোঠা, আন্তা বাহ্রা, বাংলাবাজার, শিলাকোঠা ও চরপুরলিয়া এলাকার শত শত বাড়িঘর ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পাবে।
এ বিষয়ে কুসুমহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফেজ আবদুর ওয়াহার দোহারী বলেন, বর্ষা মৌসুম ছাড়াও অন্যান্য সময় নদীর ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ার কারণে বিলীন হয়ে যায় ফসলি জমি। বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হলে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
নয়াবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ হান্নান বলেন, এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। বাঁধকে কেন্দ্র করে সবাই ঐকমত্যে পেঁৗছেছে। বিষয়টি আমার কাছে ভালো লেগেছে।
এ ছাড়া দুই ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ এ কাজের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত।