দোহার-নবাবগঞ্জে বাড়ছে কিশোর মাদকাসক্তের সংখ্যা

199

নিউজ৩৯♦ ঢাকার দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলার নতুন প্রজন্মের মধ্যে মাদকের ব্যবহার বেড়েই চলছে। দ্রত নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে সামাজিক অবক্ষয়সহ ব্যাপকহারে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছে স্থানীয় সুশীলসমাজ। সূত্রমতে, দোহার-নবাবগঞ্জের পুরুষ অধিবাসীদের প্রায় ৫৬ শতাংশ প্রবাসী। তাদের উঠতি বয়সের সন্তানরা বাবার শাসন থেকে প্রায় মুক্ত থাকে। সহজ-সরল মা কিংবা অভিভাবককে নানান কথা বলে টাকা নিয়ে নেশাগ্রস্ত বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে ওঠে। নিজের অজান্তেই একদিন মাদকের বিষাক্ত থাবায় নিজকে সপে দেয়। উঠতি বয়সের কিশোর-কিশোরী যাদের বয়স ১৬-১৮ তারাই এর প্রতি বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছে। 

একসময় ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকসেবন উচ্চবিত্তের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত যুবকদের মধ্যেও এর বিস্তার ঘটছে। শিশু-কিশোর, তরুণ-যুবক থেকে বৃদ্ধ বয়সি নারী-পুরুষ কেউ বাদ যাচ্ছে না। হাত বাড়ালেই ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল ও বাংলা মদ পাওয়া যায়।  মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ও রিকশায় চলন্ত অবস্থায়ও মাদকের বেচাকেনা হয়ে থাকে বলে জানা যায়।  

নবাবগঞ্জের পাড়াগ্রাম বাজারের এক ব্যবসায়ী অভিযোগের সুরে জানান, মাদকের ভয়াবহতায় ছেলে মেয়ে নিয়ে খুব চিন্তায় আছি। দোহারের মানবাধিকার কর্মী নাসির উদ্দিন পল্লব জানান, নবাবগঞ্জ ও দোহারে মাদকে ছড়াছড়ি হলেও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন এত হিমশিম খাচ্ছে বুঝে ওঠতে পারছি না।

অন্য খবর  বিলাশপুরে দুটি শহিদ মিনারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এ দুই উপজেলায় মাদকের বেচাকেনা হয়। বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন কৌশলে। এর মধ্যে কাশিয়াখালী বেড়িবাঁধ, বান্দুরা, বাহ্রা, গালিমপুর, চুড়াইন, আগলা, কৈলাইল ইউনিয়নে এ মাদকের কেনাবেচা হয়  মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ও রিকশায় চলন্ত অবস্থায়। জানা গেছে, ভারতীয় সীমান্ত থেকে পাচার হয়ে বাংলাদেশের ভেতরে যেসব মাদক রাজধানীর ঢাকায় প্রবেশ করে, তার মধ্যে দোহারের মৈনট ট্রলারঘাট, বাহ্রা ট্রলারঘাট, নারিশা ট্রলারঘাট উল্ল্যেখযোগ্য। অন্যদিকে নবাবগঞ্জ কৈলাইল ইউনিয়নের পাড়াগ্রাম বাজার-সংলগ্ন চরআটিপাড়া, চরপল্টন, বাহ্রার বলমন্তচর, গালিমপুরের মুসলেমহাটি, আগলার ছাতিয়া মোহনপুর, দোহারের মালিকান্দা বটতলা, মৈনট আবাসন প্রকল্প, দক্ষিণ শিমুলিয়া, অরঙ্গবাদসহ আরও বেশ কয়েকটি স্থানে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মাদক সরবরাহ ও বিক্রয় করে থাকে। 

দোহার থানার ওসি মাহমুদুল হক বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। প্রতি মাসেই মাদকের মামলা হচ্ছে। নবাবগঞ্জ থানার ওসি সায়েদুর রহমান বলেন, মাদকের সঙ্গে কোনো আপস নয়

আপনার মতামত দিন