হাদিস নং ২৩৬৬: ইয়াহইয়া ইবনু আয়্যুব, কুতায়বা ও ইবনু হুজর (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, রমযান মাস এলে জান্নাতের দরজাসমুহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমুহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানকে শিকলবন্ধী কর হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস নং ২৩৬৯: ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি রমযান সম্পর্কে আলোচনা করে বললেন, তোমরা চাঁদ না দেখে সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করো না এবং চাঁদ না দেখা পর্যন্ত ইফতারও করো না। আর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে ত্রিশ দিন পূর্ণ করা।
হাদিস নং ২৩৭০: আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান মাসের কথা আলোচনা করলেন। তারপর তিনি তাঁর উভয় হাতদ্বারা ইংগিত প্রদান করে বললেন, মাস তো এতো দিনে আর এতো দিনে হয়। তৃতীয় দফায় তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলীটি বন্ধ করে নিলেন। এরপর বললেন, তোমরা চাঁদ দেখে সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করবে এবং চাঁদ দেখে ইফতার (ঈদ) করবে। যদি আকাশ মেঘে ঢাকা থাকে, তবে ত্রিশ দিন পূর্ণ করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস নং ২৩৮৯: আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও আবূ কুরায়ব (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা রমযানের একদিন বা দু’দিন পূর্বে (নফল) সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করবে না। হ্যাঁ, যদি কোন ব্যাক্তি এ সময় সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করতে অভ্যস্ত থাকে, তবে সে সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করতে পারে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস নং ২৩৯১: আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) … যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শপথ করলেন যে, তিনি এক মাস পর্যন্ত তাঁর স্ত্রীদের কাছে যাবেন না। যুহরী (রহঃ) উরওয়া (রহঃ) এর সুত্রে আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, যখন ঊনত্রিশ রাত্র অতিবাহিত হয়ে গেল, আমি তা হিসাব রাখছিলাম। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট আসলেন এবং আমার থেকেই আরম্ভ করলেন। এ সময় আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি তো একমাস পর্যন্ত আমাদের নিকট না আসার শপথ করেছেন অথচ আপনি ঊনত্রিশ তারিখের পরই চলে এলেন, আমি তো গুণে রেখেছি। তখন তিনি বললেন, মাস তো উনত্রিশ দিনেও হয়ে থাকে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস নং ২৩৯৩: হারুন ইবনু আবদুল্লাহ ও হাজ্জাজ ইবনু শাইর (রহঃ) … জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীদের থেকে এক মাসের জন্য পৃথক হয়ে গেলেন। তারপর ঊনত্রিশতম দিবসে ভোর বেলা তিনি আমাদের নিকট আসলেন। কেউ কেউ বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ আজ তো ঊনত্রিশতম দিনের ভোরবেলা। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, মাস ঊনত্রিশ দিনেও হয়ে থাকে। এরপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উভয় হাতের সমস্ত আঙ্গুল খুলে দুবার ইংগিত করলেন এবং তৃতীয়বার ইংগিত করলেন নয় আঙ্গুল দ্বারা।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস নং ২৩৯৯: ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, ইয়াহইয়া ইবনু আয়্যুব, কুতায়বা ও ইবনু হুজর (রহঃ) … কুরায়ব (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, উম্মুল ফযল বিনত হারিস তাকে সিরিয়ায় মু’আবিয়া (রাঃ) এর নিকট পাঠালেন। (কুরায়ব বলেন) আমি সিরিয়ায় পৌছলাম এবং তার প্রয়োজনীয় কাজটি সমাধা করে নিলাম। আমি সিরিয়া থাকা অবস্থায়ই রমযানের চাঁদ দেখা গেল। জুমু’আর দিন সন্ধ্যায় আমি চাঁদ দেখলাম। এরপর রমযানের শেষভাগে আমি মদিনায় ফিরলাম। আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) আমার নিকট জিজ্ঞাসা করলেন এবং চাঁদ সম্পর্কে আলোচনা করলেন। এরপর জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কোন দিন চাঁদ দেখেছ? আমি বললাম, আমরা তো জুমু’আর দিন সন্ধায় চাঁদ দেখেছি।
তিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি নিজে দেখেছ কি? আমি বললাম, হ্যাঁ, আমি দেখেছি এবং লোকেরাও দেখেছে। তারা সিয়াম পালন করেছে এবং মুআবিয়া (রাঃ)-ও সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করেছেন। তিনি বললেন, আমরা কিন্তু শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখেছি। আমরা সিয়াম পালন করতে থাকব, শেষ পর্যন্ত ত্রিশ দিন পূর্ণ করব অথবা চাঁদ দেখব। আমি বললাম, মু-আবিয়া (রাঃ) এর চাঁদ দেখা এবং তাঁর সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করা আপনার জন্য যথেষ্ট নয় কি? তিনি বললেন, না, যথেষ্ট নয়। কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এরূপ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম
অধ্যায়ঃ সিয়াম (রোজা)
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন