দোহারে খান বাড়ির ধানের গোলায় লুকানো ছিল এক মাস!

981
দোহারে খান বাড়ির ধানের গোলায় লুকানো ছিল এক মাস!

১৯৭১ সালের ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের রেকর্ড পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা করতে ঢাকা থেকে দোহারে এনে লুকিয়ে রাখা হয়। এরপর ভারতে নেয়া হয়। পরে ভারত থেকে কপি আকারে ফেরত আনা হয়।

চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা বিভাগের তৎকালীন ক্যামেরা সহকারী হিসেবে কাজ করতেন খন্দকার আমজাদ আলী। তিনিই এসব রেকর্ড সংরক্ষণে সহযোগিতা করেছিলেন। ভাষণ রেকর্ডের পর সেটা সংরক্ষণে উদ্যোগী হন মহিবুর রহমান খান নামে বিটিভির এক কর্মী।

আবুল খায়ের নামে এক অভিনেতার পরামর্শে তার ভাগ্নি জামাতা অধ্যক্ষ রেজাউর রহমানের বাড়ি চরকুশাই নেয়া হয় রেকর্ডটি। রেজাউরের বাবা দানেছ খান ও চাচা ছিলেন উমেদ খান। তাদের বাড়ির ধানের গোলার ভেতর ভিডিও রেকর্ডটি লুকিয়ে রাখা হয়- যাতে পাকবাহিনী ও তার দোসররা কেউ সেটা নষ্ট বা ধ্বংস করতে না পারে। দেশে যুদ্ধ চলাকালীন তিনি ঢাকা থেকে পালিয়ে ভাষণের রেকর্ড নিয়ে চলে আসেন দোহারের চরকুশাই খান বাড়িতে।

আমজাদ আলী খানের ভাষ্যমতে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ভিডিও ধারণ হয়েছিল পাকিস্তান সরকারের ক্যামেরায়। অনেকের চোখ ফাঁকি দিয়ে তা ডেভেলপ করার পর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রক্ষা করা হয় পাকিস্তানি হানাদের থাবা থেকে।

অন্য খবর  দেশনেত্রীকে বাদ দিয়ে নির্বাচনের ষড়যন্ত্র সফল হবে না – ভিপি কামাল

তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরে কর্মরত কয়েকজন মুক্তিকামী বাঙালির বীরত্বে রক্ষা পেয়েছিল বাঙালির ইতিহাসের এ অমূল্য সম্পদ। ভাষণের মাসখানেকের মাথায় সেটা সচিবালয় থেকে লুকিয়ে নেয়া হয়েছিল দোহারের একটি বাড়িতে। সেখানে ধানের গোলায় মাসখানেক রাখার পর নিয়ে যাওয়া হয় ভারতে। ৯ মাসের যুদ্ধজয়ের পর ভিডিও টেপটিও ফিরে আসে নতুন বাংলাদেশে। পাকিস্তানি সেনাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে সচিবালয় থেকে ঢাকার দোহারে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের টেপ নিয়েছিলেন আমজাদ আলী খন্দকার, যিনি সে সময় ছিলেন চলচ্চিত্র বিভাগের ক্যামেরা সহকারী। খন্দকার আমজাদ আলী বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাষণের রেকর্ড একটি বাক্সে ভরে লুকিয়ে রাখা হয়। কারণ ওই বাড়িটি ছিল নিরাপদ স্থান। তখন এটা ছিল দোহার উপজেলা থেকে একেবারেই অজপাড়াগাঁ।

আপনার মতামত দিন