রাজধানীর সবুজবাগ এলাকায় নবাবগঞ্জে কর্মরত পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা ইব্রাহিমের সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। এদের একজন ছয় বছরের সাঈদ সাদাত ইফতি। নিখোঁজের ১৩ ঘণ্টা পর আজ দুপুরে নিজ বাসার অদূরে পানির ট্যাংক থেকে ইফতির লাশ উদ্ধার করা হয়।
সূত্র জানায়, শিশু ইফতির মামা মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, ইফতির বাবা ইব্রাহিম নবাবগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে চাকরির সুবাদে পরিবার নিয়ে সেখানেই থাকেন। ঈদের ছুটিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিজ বাড়ি রাজধানীর খিলগাঁও থানার বালুপাড়ার আসে। সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ইফতিকে পাচ্ছিলাম না। অনেক খোঁজাখুজি করেছি। পরে সবুজবাগ থানায় একটা সাধারণ ডায়রিও করেছি। আজ সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর সবুজবাগের শেখের জায়গায় একটি নির্মাণীন বাড়ির মালিক পানির ট্যাঙ্কিতে একটি শিশুর লাশ দেখতে পেয়ে থানায় সংবাদ দেন। পরে থানা থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা ইফতির লাশ শনাক্ত করি। ইফতি নবাবগঞ্জের কলাকোপা বান্দরা স্কুলের প্রথম শ্রেণিতে পড়াশুনা করতো। ইফতির মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। কেউ তাকে হত্যা করে পানির ট্যাঙ্কিতে রেখে দিয়েছে কি না তাও জানা যায়নি। এক ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছিল সবার বড়। মৃত সাঈদ সাদাত ইফতি খিলগাঁও থানার বালুপাড়ার মো. ইব্রাহিমের ছেলে।
ছয় বছরের একটি শিশু কী করে সেখানে গেল, না কি কেউ তাকে অপহরণ করে নিয়ে হত্যা করেছে -এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে ইফতির মামা বলেন বিষয়টি আমরা বুঝতে পারছি না। তবে এখন লাশ নিয়ে ব্যস্ত আছি। পুরো পরিবার শোকাচ্ছন্ন। পরে এ নিয়ে চিন্তাভাবনা করে দেখবো।
পরে আজ শুক্রবার দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে শামীমের লাশ উদ্ধার করেন। সে কমলাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। দুই ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল বড়। তার বাড়ি নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানার বগাদি গ্রামে।