দোহার উপজেলায় পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে কয়েকটি গ্রাম। সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে প্রতিনিয়ত অসংখ্য পরিবার। নদী পারের ভাঙন কবলিত অসহায় পরিবারগুলোর আশ্রয় এখন আত্মীয়-স্বজনের বাসা-বাড়ি, আশ্রয় কেন্দ্রে, ও বিভিন্ন সড়ক স্থাপনার পাশে। উপজেলার নারিশা ইউনিয়নের রানীপুর গ্রাম সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে মেঘুলা বাজারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মন্ত্রী-এমপি ও শিল্পপতিরা আসলো কিন্তু নদী শাসনের কোনো পদক্ষেপ হল না আজো। গত ২ বছরে প্রায় ২ হাজার ৩০টি পরিবারের বসত বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। সর্বস্ব হারিয়ে দুঃখে কষ্টে জীবন কাটছে অসহায় পরিবারগুলো। রানীপুরের কামাল মিয়া জানান, গত বছর ধরে মন্ত্রী এমপিরা ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন। কোনো পদক্ষেপ নেন না।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নেতারা তাদের প্রয়োজনে আসেন। সান্তনা দিয়ে চলে যান। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। মাহ্মুদপুরের পুরুলিয়া থেকে নারিশা ইউনিয়নের পূর্বচর পর্যন্ত নদী পারের প্রায় ২টি গ্রাম পদ্মা ভাঙনের কবলে পড়েছে। এলাকাবাসী সরকারের প্রতি দ্রুত পদক্ষেপের অনুরোধ জানিয়েছেন।
দোহার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামীম আরা নিপা বলেন, ‘নদীভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে জরুরিভিত্তিতে কাজের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হওয়ার কথা। এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা প্রশাসক মহোদয়কেও জানানো হয়েছে।
নারিশা ইউপি চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন দরানী বলেন, ‘জরুরি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। শিগগিরই কাজ শুরু করার কথা। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন এলাকা পরিদর্শনও করেছে।’