ঢাকা -১ তথা দোহার-নবাবগঞ্জ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত প্রার্থী ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাই-কমিশনার কর্তৃক আয়োজিত ” বাংলাদেশের ভাষা শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস – ২০২৫” অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘৫২ ও ‘৭১ এবং ‘২৪ চেতনা বৈষম্যহীন অধিকারের। বিভিন্ন সময়ে এই দেশে সংস্কৃতি, উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু একমাত্র সুলতানী আমলেই বাংলাকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছে। ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ, গিয়াসউদ্দিন আযম শাহ উনারাই রাষ্ট্রীয় নথি এবং সাহিত্যে সরকারি ভাষা হিসেবে বাংলাকে মর্যাদা দেন। নাহলে হয়তো সংস্কৃতি, উর্দুর চাপে হারিয়ে যেতো বাংলা।
তিনি আরও বলেন, এই উপমহাদেশে একটি বিশেষ শ্রেণী ব্রিটিশদের স্বাগত জানিয়ে ইংরেজি শিখে জাতে উঠার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এদেশের আপামর জনসাধারণ বাংলাকে ধারণ করেছে মায়ের ভাষা তথা মাতৃভাষা হিসেবে।
১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সূচনা হয়েছিলো যে কজন ভাষা সৈনিক ও সংগঠকদের হাতে। তাদের মধ্যে প্রফেসর গোলাম আযম অগ্রণী। ততকালীন ডাকসুর জিএস হিসেবে ছাত্রদের পক্ষ থেকে বাংলা কে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দিতে জিন্নাহর বক্তব্যের প্রতিবাদে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন এই হাই কমিশনে আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হতো না। দেশে যাবার জন্য আমাদের পাসপোর্ট ও নো ভিসা স্ট্যাম্প দেয়নি এতটা বছর। বাংলাদেশী হয়েও হাই কমিশনে যাওয়ার জন্য আমরা বাধার মধ্যে ছিলাম কার্যত।
