নিউজ৩৯, মোঃ আল আমিনঃ ১৮ বছরেও দোহার উপজেলায় সংস্কার হয়নি একটি সংযোগ সড়ক। ভাবা যায়! এই ১৮ বছরে দোহারে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা, আব্দুল মান্নান খান, এডভোকেট সালমা ইসলাম ও বর্তমানে সালমান এফ রহমানের মতো প্রভাবশালী মন্ত্রী – এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু সংস্কার হয়নি প্রায় ২৫/৩০ হাজার লোকের নিত্য যাতায়াতের সংযোগ সড়কটি।
ঢাকার দোহার উপজেলার বিলাশপুর ও মাহমুদপুর ইউনিয়নের মধ্যকার সড়কটি ১৮ বছর ধরে সংস্কারবিহীন পড়ে রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার দুই ইউনিয়নের ২৫/৩০ হাজার সাধারণ জনগন।
বিলাশপুর ইউনিয়নের চান মােল্লার বটতলা থেকে ছন্দুর ব্রিজ হয়ে মাহমুদপুর ইউনিয়নের সোনা মােল্লার বাড়ি পর্যন্ত প্রায় সোয়া কিলোমিটার পিচ ঢালা রাস্তাটি আর সংস্কার হয়নি। বর্ষায় এই রাস্তায় চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়ে। তবুও চলতে হয়। আর সারাবছর ধুলা-বালিতে মাখামাখি হয়ে যাতায়াত করেন এলাকাবাসী। এছাড়া ছোট- খাটো দূর্ঘটনাতো লেগেই আছে।
সড়কটি দীর্ঘ ১৮ বছর পূর্বে পিচঢালা করা হয়েছিল। এরপর থেকে রাস্তাটিতে আর কোন প্রকার সংস্কার কাজ করা হয়নি। এছাড়া সড়কটির মাঝে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দে ভরে গেছে। ফলে, নাগরিকরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় জরুরী ভিত্তিতে রাস্তাটি মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার এলাকাবাসী।
স্থানীয় কৃষক মুশতাক হোসেন বলেন, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ দিন আনি, দিন খাই। তারমধ্যে রাস্তা খারাপ হওয়ায় আমাদের দূর্ভোগের চরম পোহাতে হয়। সময় মত কাচামাল-সবজি বাজারে নিতে পারিনা।
পিক আপ পরিবহন চালক আব্দুস সালাম বলেন, আমরা গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু এই রাস্তায় প্রতিনিয়ত গাড়ি চালাতে গিয়ে, গাড়ি নষ্ট হয়। দূর্ঘটনা ঘটে। এতে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হচ্ছে। কিন্তু কেউইতো দেখে না। সবাইই ধান্দায় ব্যাস্ত।
স্থানীয় বাসিন্দা নাজমুল বলেন, রাস্তা খারাপ হওয়ায় প্রতিনিয়ত ট্রাক, মাহিন্দ্র, করিমন, অটোরিক্সা যাওয়া আসায় রাস্তায়, ধুলা- বালিতে আমাদের লক্ষ লক্ষ টাকার বাড়ি ঘর নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মুখ বুজে সহ্য করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।
এবিষয়ে মাহমুদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমরা রাস্তাটার ব্যপারে কয়েকবার আবেদন করেছি। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। উপজেলা ইন্জিনিয়ার এর কাছে যাওয়া হয়েছে, কিন্তু তার কোন সাড়াশব্দ নাই।
এ ব্যাপারে দোহার উপজেলা প্রশাসনের ইন্জিনিয়ার হানিফ মুর্শেদীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি বলেন, আমাদের এই দুই উপজেলার জন্য মাননীয় এমপি সালমান এফ রহমান নতুন একটা প্রকল্প হাতে নিয়েছন। এ রাস্তাটির জন্য প্রস্তাবনা দেয়া আছে। কাজের অনুমোদন হলেই আমরা রাস্তা কাজ শুরু করতে পারবো।