১১ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৯৪৪ কোটি ডলার

30
১১ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৯৪৪ কোটি ডলার

 

চলতি অর্থবছরের গত ১১ মাসে (জুলাই-মে) প্রবাসী বাংলাদেশীরা ১ হাজার ৯৪৪ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

রবিবার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদে তিনি এ তথ্য জানান। বলেন, এটা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১.১ শতাংশ বেশি। সংসদে সরকারি দলের সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের টেবিলে উপস্থাপিত তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব তথ্য উল্লেখ করেন।

বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গার অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সঞ্চয়পত্রের লভ্যাংশের ওপর ও প্রাইজবন্ডের পুরস্কারের ওপর আগে থেকেই উৎসে আয়কর ধার্য রয়েছে। তবে এর ফলে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও প্রাইজবন্ড বিক্রি কমেনি। উৎসে আয়কর প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই।

সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ছিল ৯৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। স্থানীয় পর্যায়ে মূসকের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ছিল ৮৪ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং আয়কর ও ভ্রমণ কর পর্যায়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ছিল ৯৭ দশমিক ১৭ শতাংশ।

অন্য খবর  পিঁয়াজের বাজার অস্থির

তিনি জানান, বৈশ্বিক মহামারির কারণে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম সীমিত হওয়ায় ৩ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা হ্রাস পেয়েছে। আমদানি ও স্থানীয় পর্যায়ে কিছু পণ্যে কর অব্যাহতি দেয়ায় ৩৪৪ কোটি টাকা কম রাজস্ব আহরিত হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ খাতে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫০৬ কোটি টাকা কম রাজস্ব আহরিত হয়েছে, জ্বালানি সংকটের কারণে সিরামিকসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাতের উৎপাদন ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কমে যাওয়ায় রাজস্বের পরিমাণ কমেছে।

আপনার মতামত দিন