গত শুক্রবার দোহারের বউবাজারে অনুষ্ঠিত ওয়াজ মাহফিলে দেখা হলো বিএনএফ এর আহবায়ক ও বিএনপির সাবেক নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ও নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহি কমিটির সদস্য খন্দকার আবু আসফাকের। তাদের দু’জনের একই সময় একই স্থানে দেখা হওয়ার ব্যাপারটি কাকতালীয় বলে দাবী করেছেন।
গত কয়েক দিন ধরে দোহার-নবাবগঞ্জের রাজনীতিতে নাজমুল হুদা সম্পর্কে কানাঘুষা হচ্ছিল যে, তিনি বিএনএফ থেকে পদত্যাগ করে আবার বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে নিউজ৩৯ কে তিনি বলেন, তিনি আগামীতে কোন ব্যানারে দোহার-নবাবগঞ্জে আসবেন তা একমাত্র আল্লাহ্ জানেন। তবে আগামীতে গ্যাস সরবরাহ, রেলপথ নির্মান, রাস্তা সংস্কার ও তার অসমাপ্ত কাজের সমাপ্তি ঘটাতে তিনি দোহার-নবাবগঞ্জে আসবেন।
বিএনএফ থেকে পদত্যাগ করে বিএনপিতে যোগ দিবেন কিনা এই সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা নিছক একটি গুজব আর কিছুই না। এর কোন ভিত্তি নেই, তবে ভবিষ্যতে এই ব্যাপারে তিনি সিদ্ধান্ত নিবেন।
আঠারো দলের মহাসমাবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা একটি রাজনৈতিক প্রোগ্রাম। এটি সম্পর্কে তার বলার কিছু নাই।
ওয়াজ মাহফিলের সভাপতি ও দোহার উপজেলার ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক জিএস সেন্টু ভূইয়া ওয়াজ মাহফিলে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ও আবু আসফাকের এই সাক্ষাত পূর্ব নির্ধারিত কিনা এ ব্যাপারে নিউজ৩৯কে বলেন, এটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠান। এটা কোন রাজনৈতিক সাক্ষাৎ নয়।
ওয়াজ মাহফিলে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে প্রধান অতিথি করার কারন সম্পর্কে তিনি বলেন এটি একটি ওয়াজ মাহফিল এখানে কোন দলীয় দাওয়াত দেয়া হয়নি। আমরা সবাই মুসলমান এবং আমরা নবীর দল।
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিএনপিতে ফেরার সম্পর্কে জানতে চাইলে সেন্টু ভুইয়া বলেন আমরা ১৮ বছর ধরে নাজমুল হুদার সাথে রাজনীতি করেছি। আমরা চাই তিনি আবার দলে ফিরে আসুক। তিনি আরো বলেন, সামাজিক ও ব্যাক্তিগত সম্পর্কের ভিত্তিতে তিনি ওয়াজ মাহফিলে নাজমুল হুদাকে দাওয়াত দিয়েছিলেন।
ঢাকা-১ আসনের সাবেক এমপি এই বর্ষিয়ান নেতা ওয়াজ মাহফিলের প্রধান অতিথীর বক্তিতায় বলেন, তিনি আবার জনগনের প্রতিনিধি নির্বাচিত হতে পারলে দোহার উপজেলায় গ্যাস, রেল লাইন, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ও সকল অসাম্প কাজের সমাপ্তি ঘটাবেন।
ওয়াজ মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসাবে ছিলেন, আজিজুর রহমান বুলবুলি ও বিশেষ বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল ওহাব দোহারি। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন দোহার উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন বিদুৎ, ছাত্রনেতা জহিরুল ইসলাম সহ বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা কর্মী।