স্বীকৃতি পায়নি নবাবগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শওকাত হোসেন

604

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে তৎকালীন ২ নং সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশারফ কর্তৃক নিযুক্ত গ্রুপ কমান্ডার ও পরবর্তী সময়ে নবাবগঞ্জ থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শওকাত হোসেন আঙুরের পরিবার স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও রাষ্ট্রীয় কোন সুযোগ-সুবিধা ও স্বীকৃর্তী পায়নি।

নবাবগঞ্জের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ (দারু) জানান, নবাবগঞ্জ থানাকে পাক-হানাদার বাহিনী মুক্ত করতে ১৯৭১ সালের ২৩ শে সেপ্টেম্বর  থেকে ২৮ শে সেপ্টেম্বর পযন্ত শওকাত হোসেন ও তার সহযোদ্ধারা ইছামতি নদীর গালিমপুর, আগলা ও চুড়াইনের উত্তর-পূর্ব বাকে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। যা নবাবগঞ্জ অঞ্চলে গালিমপুরের যুদ্ধ নামে পরিচিত এ যুদ্ধে বেনুখালী গ্রামের রহিম নামে এক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়। মুক্তিযোদ্ধা আঙুরের ছেলে উপজেলার আগলা (আন্ধারকোঠা) গ্রামের বাসিন্দা ইটালি প্রবাসী মোর্শেদদুল হাসান রতন মুঠোফোনে জানান, স্বাধীনতার পর দেশ গঠন ও মানুষের জন্য  বাবা নিবেদীত প্রাণকর্মী ছিলেন, কিন্তু দুরভাগ্য জনক হলেও সত্য যে, ১৯৭৪ সালের ২৪ শে সেপ্টম্বর  বেলা ১১টার দিকে কিছু  দুষ্কৃতকারী বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আমার বাবাকে হত্যা করে। আমরা কিছু চাইনা শুধু বাবা যে দেশের মুক্তি সংগ্রামে অংশ গ্রহন করেছিল তার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃর্র্তীর দাবী জানাই।

অন্য খবর  ফল বিপর্যয়ের ৬ কারণ

এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শাহ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, কোমরগঞ্জ, বক্সনগর চুড়াইনসহ নবাবগঞ্জের বিভিন্ন প্রান্তে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছেন। আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে তার গেজেটের করানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।

 

আপনার মতামত দিন